লকডাউনে চার নৌ-রুটে প্রায় ১৫ হাজার শ্রমিকের মানবেতর জীবনযাপন

 

রুদ্র প্রকাশ, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: চলমান করোনা সঙ্কটে লকডাউনে দেশের চারটি নৌ-রুটে প্রায় ১৫ হাজার নৌ-শ্রমিক মানবেতর জীবনযাপন করছে। মুন্সিগঞ্জ-নারায়ণগঞ্জ-ঢাকার পাশ দিয়ে বয়ে চলা এসব নদীতে চলাচলরত মালবাহী ট্রলারগুলো একমাস ধরে বন্ধ। ফলে এসব ট্রলারে কর্মরত নিম্ন আয়ের মানুষগুলো চরম বিপাকে পড়েছেন। শ্রমিকদের দাবি, এই দুঃসময়ে সরকার -শ্রমিক সংগঠন কেউ তাদের খোঁজ নেয়নি। ঘাটে ঘাটে শ্রমিক সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন ও শ্রমিক লীগের সংগঠনগুলো তাদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা নিলেও দুঃসময়ে কেউ পাশে আসেনি। এতে প্রায় ১৫ হাজার শ্রমিক অনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে।

শ্রমিকদের দেয়া তথ্যমতে, মেঘনা, বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী ও তুরাগ নদে প্রায় তিন হাজার নৌ ট্রলার বালু ও অন্যান্য মালামাল বহন করে। এক-একটি ট্রলারে গড়ে ৫ থেকে ৭ জন শ্রমিক কাজ করে। ঢাকার আমিনবাজার, আশুলিয়া, রুস্তমপুর, সদরঘাট, কেরানীগঞ্জ ও মোক্তারপুর ঘাটগুলোতে নৌ-যান শ্রমিক ইউনিয়ন ও শ্রমিক লীগসহ ৩/৪টির বেশি সংগঠন সক্রিয় রয়েছে। এসব সংগঠন লাল, হলুদ ও সবুজ কার্ডের মাধ্যমে চাঁদা নিলেও দুঃসময়ে কেউ ফিরেও তাকায়নি।

মোক্তারপুর ঘাট এলাকার খলিল মিয়া নামের এক শুকানি বলেন, লকডাউন ঘোষণার পর থেকে ট্রলার বন্ধ। একমাস ধরে আমরা বেকার। কিন্তু সরকার, শ্রমিক সংগঠন দুমুঠো চাল নিয়ে আমাদের খোঁজ নেয়নি। দৈনিক মজুরিভিক্তিক কাজ হওয়ায় ট্রলার মালিকরাও তেমন একটা সাহায্য করছে না। তবে দুয়েক জন মালিক শ্রমিকদের সামান্য সহযোগিতা করেছেন।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য নৌ-যান ফেডারেশনের সহসাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেনের মোবাইলে বেশ কয়েক বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে এ বিষয়ে মোক্তারপুর ঘাট এলাকার ট্রেড ইউনিয়ন নেতা জিয়া কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

 

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com