জেলা প্রশাসকের সহায়তা চায় না’গঞ্জের কর্মহীন সিএনজি চালকরা
নগর প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দেশব্যাপী চলমান শাট-ডাউনের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া নারায়ণগঞ্জ সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকরা দুঃখ-দুর্দশার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন।
এ পরিস্থিতিতে টিকে থাকার জন্য সরকারের নিকট সহায়তা চেয়েছেন তারা।
সরকার ২৬ মার্চ থেকে অন্যান্য যানবাহনের মতো সারা দেশে তিন-চাকার যান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন। ওই দিনই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সব ধরনের যোগাযোগ স্থগিতের পাশাপাশি সরকারি ছুটি ঘোষণা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়।
দেশের সিএনজি চার্লিত অটোরিকশা চালকরা দৈনিক ভিত্তিতে তাদের পরিবার চালানোর জন্য রোজগার করেন। বর্তমানে তাদের কাজ না থাকায় কোনো উপার্জনও নেই। ফলে তারা পরিবার চালাতে গিয়ে বিপাকে পড়ে গেছেন।
একজন অটোরিকশা চালক সাধারণত তার গাড়ির দৈনিক মালিকের জমা দিয়ে প্রতিদিন ৪/৫ শত টাকার মতো আয় করেন।
নগরীর ১ নং রেল গেইটের একএ সিনজি চালিত অটোরিকশা চালক বলেন, ‘আমরা দৈনিক ভিত্তিক আয় করি। ২৬ মার্চ থেকে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারির পরে গাড়ি নিয়ে বের হতে না পারায় আমাদের আয়ও বন্ধ হয়ে গেছে।’
এখন পরিবারের জন্য খাদ্য এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনার মতো কোনো টাকা নেই, বলেন তিনি।
একই রকম পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন চাষাঢ়া, মন্ডলপাড়া, নবীগঞ্জ, বন্দর রেল লাইন, ফ্যারাজিকান্দা, কেউঢালা, ফতুল্লা পঞ্চবটি, সোনারগাঁ নয়াপুর, মদনপুর, চিটাগাংরোড, শিবু মার্কেট সাইনবোর্ডের সিএনজি ষ্টান্ডের চালকরা।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালক ইউনিয়ন ( রেজি নং ঢাকা-৩৫৬১)’র সাধারন সম্পাদক মোঃ জুলহাস উদ্দিন ও চাষাঢ়া শাখার সভাপতি নুরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তারা বলেন, আমরা দিন মজুর সরকারের আদেশ মেনে চলি কিন্তু ২৬ মার্চ থেকে গাড়ি চালাতে না পারায় প্রতিটি চালক ও তার পরিবার অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতি পাৎ করছে। আমাদের এই দুর্দশা লাঘবের জন্য আজ (১৬ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মহদয়ের নিকট ত্রান চেয়ে আবেদন করেছি।