করোনা ঝুঁকিতে বন্দরের বেদেবহর!
বন্দর প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: মাক্স হ্যান্ড গ্লাভস ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের বালাই নেই, নেই জনসচেতনতা! এক ঘরে গাদাগাদি করে অনেক মানুষের বসবাস। দোকানপাটে চলছে তাস ও ক্যারম বোর্ড খেলা। এমন দৃশ্য চোখে পড়লো নরায়নগঞ্জের বন্দর উপজেলার ধামগড় ও মুছাপুর ইউনিয়নে মধ্যে অবস্থিত লাঙ্গলবন্দ ব্রিজ এলাকায় । কুসংস্কারাচ্ছন্ন ওই খানকার মানুষ এখনো অতীতের মতো ঝাড়-ফুঁতে বিশ্বাসী। কিন্তু সব কিছুর মাঝেও থেমে নেই লাঙ্গলবন্দের বেদে বহরের মানুষের জীবনযাত্রা। করোনা ভাইরাস কি এটা তারা জানেন না। শুধু মানুষের মুখে শুনেছি দেশে করোনা ভাইরাস নামে কিছু একটা এসেছে। কীভাবে এই করোনা ভাইরাস থেকে দূরে থাকা যায় তাও জানা নেই বেদেপহরের মানুষের।
সম্প্রতি বন্দর উপজেলার ধামগড় ও মুছাপুর ইউনিয়নের লাঙ্গলবন্দ ব্রিজের পাশে প্রায় ১০ বছর যাবত থাকা ওই বেদে পহরে গিয়ে দেখা যায়, করোনা ভাইরাস সম্পর্কে কোনো জ্ঞান তাদের নেই। বেদেপহরের সামনে অবস্থিত লাঙ্গলবন্দ বাষ্টান্ডে দোকানে বসে থাকে আড্ডা দেয়, ৭-৮ জনের একাধিক গ্রুপ তাস, ক্যারম ও লুডু খেলছে। ৩৫ টি পরিবারের কোথাও পাওয়া যায়নি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক। যততত্র পড়ে আছে ময়লা আবর্জনা। একে অপরের গা-ঘেঁষে বসে গল্প গুজব করছে। সরেজমিনের গেলে বেদেবহরের সর্দার আবু-তাহের বলেন আমরা সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষ আমাদের কেউ কোন খোঁজখবর রাখেনা আমরাও মানুষ, এ পর্যন্ত আমাদের মাজে কেউ আশেনাই ভাই।
এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউ এন ও) শুক্লা সরকার বলেন, শুধুমাত্র বেদেবহরে নয় সার্বিকভাবে উপজেলাবাসীর সুরক্ষার জন্য তিনি কাজ করে যাচ্ছেন,তবে বেদেরা যেহেতু ভাসমান সে ক্ষেত্রে তাদেরকে আলাদা ভাবে নজরে রাখা উচিত। আমি বিগত দিনে গিয়েছিলাম আজ আবার যাব তাদের কে সচেতন করার জন্য।