পথ দেখালেন কাউন্সিলর খোরশেদ!
নগর প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: চলমান করোনা ভাইরাস আতঙ্কে যখন অনেকেই হাত-পা গুটিয়ে নিয়েছেন ঠিক সে সময়ে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। করোনা আতঙ্কে বাজারে যখন হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও অন্যান্য সামগ্রী নিজেই তৈরি করে বিতরণ করে জেলাজুড়ে আলোচনার র্শীষে ১৩নং ওয়ার্ডের এই কাউন্সিলর। তার এই উদ্যোগে হাত মিলিয়েছেন স্ত্রী-সন্তানরাও। ফলে তার এই উদ্যোগ এখন সর্বমহলে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নিজ কার্যালয় প্রাঙ্গণেই গড়ে তুলেছে হ্যান্ড স্যানেটিজার তৈরীর একটি ছোটখাটো কারখানা। নানা উপাদান ও বোতলে সজ্জিত রয়েছে কয়েকটি টেবিল। মিশ্রনের পর যা প্রস্তুত করতে ব্যস্ত ছোট বড় কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবী কর্মী। পরবর্তিতে বিন্যামূল্যে তা বিতরণ করা হচ্ছে হাজারো সাধারণ মানুষের মাঝে। ইতমধ্যে উনার এ কার্যক্রম থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে সাড়া দিচ্ছেন অনেকেই। প্রতিদিনই কার্যালয় প্রাঙ্গণে হাত ধোয়ে, সুরক্ষিত শেষে গ্লাফস ও মাস্ক পরিহিত হয়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিতে ভিড় জমাচ্ছে লোকেরা। আবার কেউ কেউ উপাদান ও প্রস্তুত প্রণালী দেখে নিচ্ছে প্রশিক্ষণও।
এ প্রসঙ্গে কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মানবিক দিক বিবেচনা করেই আমার এই ছোট উদ্যোগ। এটা করতে সর্বপ্রথম আমার অভিজ্ঞ কিছু বন্ধুদের পরার্মশ নিয়ে কাজটি শুরু করলে কিছুটা সাড়া পাই। এরপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের ফর্মূলায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরীতে আমার আরো অভিজ্ঞতা বাড়ে। এভাবেই আমি এ কাজ শুরু করি। প্রথম ধাপে ১০০০ দ্বিতীয় ধাপে ২০০০ ও তৃতীয় ধাপে ১০০০০ করে এরইমধ্যে ২০ হাজার হ্যান্ড স্যানিটাইজার বানানো সম্পন্ন করতে পেরেছি, যা বিনামূল্যে বিতরণ করছি। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন না আসা পর্যন্ত, যতদিন নিজে আক্রান্ত না হই, এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।