উচ্চ আদালতে এহসানের রীট বরখাস্তের আদেশ স্থগিত
বন্দর প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: বন্দর ইউপি চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদের বরখাস্তের আদেশ তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে আদালত রুল জারি করেছেন। বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (৩ মার্চ) এই আদেশ দেন।
এহসান উদ্দিন আহমেদের সাময়িক বরখাস্তের আদেশে স্থগিতাদেশের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার সচিব, রেজিস্টার জেনারেল, অতিরিক্ত সচিব, ডেপুটি রেজিস্টার, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক, উপপরিচালক(স্থানীয় সরকার) ও বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এর আগে সাময়িক বরখাস্তের আদেশটি চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন এহসান উদ্দিন আহমেদ।
এহসান উদ্দিন আহমেদ বলেন, সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন করা হয়। পরে হাইকোর্ট ওই সাময়িক বরখাস্তটি আগামী তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন।
তিনি বলেন, এই ঘটনায় আমি সচিবের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। মামলাটি পিবিআইতে তদন্ত আছে। এ বিষয়ে দুদকও তদন্ত করছে। আমি অন্যায়ের সাথে আপোষ করবো না। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমি বিক্রি করে টাকা ফেরত দিলেই বিষয়টির মীমাংসা হয়ে যায়। কিন্তু এতে করে প্রকৃত অপরাধী সচিব পার পেয়ে যাবে।
তিনি দাবি করেন, ঘটনা প্রকাশের পর তৎকালীন উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) মোখলেসুর রহমান একটি তদন্ত কমিটি করেন এবং ইউপি সচিব ইউসুফকে সম্পূর্ণ অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দেন। সেই প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে সাবেক জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া ইউসুফকে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় বরখাস্ত করেন।
তিনি বলেন, আমি চেয়ারম্যান হিসেবে দায় এড়াতে পারিনা। তৎকালীন উপ-পরিচালকও তাঁর তদন্ত প্রতিবেদনে এই বিষয়টি উল্লেখ করেন। আমার কাছে এই ঘটনায় বরখাস্ত ইউপি সচিবের সম্পৃক্ততার অনেক প্রমান আছে।
উল্লেখ্য জন্ম নিবন্ধন ও ট্রেড লাইসেন্স বাবদ ৩৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে নারায়ণগঞ্জের বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।