আড়াইহাজারে রোকসানা হত্যা রহস্য উদঘাটন
আড়াইহাজার প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে রোকসানা হত্যার ২ মাস পর হত্যা রহস্য উদঘাটন করেছে থানা পুলিশ। হত্যার সাথে জড়িত রোকসানার দ্বিতীয় স্বামী গোলজার সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোকসানার ভাই মামলার বাদী কামাল এর অভিযোগ থেকে জানাযায় যে, তার বোন রোকসানার পূর্বে একটি মিয়ে হয়েছিল। সে সংসারে তার একটি পিথী (৭) নামে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। পরে তার স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় ৫ বছর আগেই ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। পরে ২০১৯ সালে মারুয়াদী এলাকার আব্দুল অহিদের ছেলে গোলজারের সাথে স্থানীয় হুজুরের মাধ্যমে দ্বিতীয় বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে গোলজার তার বোন রোকসানা ও ভাগিনী পিথীকে নিয়ে বিনারচর এলাকার জুলহাস মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকে।
বিগত ১৭ ডিসেম্বর রাত ২টার দিকে রোকসানার মেয়ে পিথী মোবাইলে তার মায়ের অসুস্থতার সংবাদ দেয় মামা কামালকে। পরে কামাল বোনের বাড়িতে গিয়ে রোকসানাকে মৃত দেখতে পান। পরে ১৭ ডিসেম্বর কামাল আড়াইহাজার থানায় অপমৃত্য মামলা দায়ের করেন। পুলিশ রোকসানার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়নগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে মর্গে প্রেরন করলে সম্প্রতি হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: মো: আসাদুজ্জামান থানা পুলিশকে লিখিত ময়নাতদন্ত রিপোর্ট দেন যে,রোকসানার মৃত্যু শ্বাসরোধ জনিত কারনে হয়েছে। এ রিপোর্টের প্রেক্ষিতে নিহত রোকসানার ভাই কামাল রবিবার আড়াইহাজার থানায় দ্বিতীয় স্বামী গোলজার সহ ৩ ব্যক্তিকে আসামী করে আড়াইহাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
কামাল জানান,রোকসানা তাদের বিয়ের কাবিনের জন্য গোলজারকে চাপ দেওয়ায় এবং রোকসানার জমানো টাকা আত্মসাত করার জন্য রোকসানাকে হত্যা করে বলে অভিযোগ করেন। পুলিশ মামলা রুজু হওয়ার পর অভিযান চালিয়ে রোকসানার দ্বিতীয় স্বামী গোলজার (৪০), সোনারগা উপজেলার চরকামালদী এলাকার শাজাহানের ছেলে মামুন(২০) ও উৎরাপুর এলাকার রূপচাঁন এর ছেলে শাকিল (২০) গ্রেফতার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা পুলিশের কাছে রোকসানাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার বিস্তারিত বর্ণনা দেন বলে জানান।