প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণ: ফতুল্লায় ৪ প্রতারক পাকড়াও
ফতুল্লা প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: প্রথমে মোবাইলে নারীদের দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলা হয় যুবক তরুণদের। এরপর আরো ঘনিষ্ঠতা গড়ে তোলে তাদের সাথে দেখা করে সহযোগীদের দিয়ে করা হয় অপহরণ। পরে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের ফোন করে অপরহরণের কথা জানানো হয় এবং মুক্তিপণ হিসেবে টাকা দাবি করে। আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা আদায় করে অপহৃতকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এমনই একটি প্রতারকচক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফতুল্লার রামারবাগ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে-জাহাঙ্গীর আলম (৪০), তানিয়া (২৬), শারমীন (২৩) ও মনির হোসেন (৩২)।
তাদের বাড়ি বরিশালের মেহিন্দেগঞ্জ ও বাকেরগঞ্জ এলাকায়।
চক্রের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া কামরুল শেখের বরাত দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, পেশায় ট্রাক চালক কামরুল শেখের বাড়ি গোপালগঞ্জে। সে ফতুল্লার মুস্তাফিজ সেন্টারের পেছনে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতো। গ্রেফতার হওয়া তানিয়া প্রথমে মোবাইলে তার সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে আস্তে আস্তে আরো ঘনিষ্ঠতা হবার পরে সে কামরুলকে তার বাড়িতে আমন্ত্রণ জানায়। কামরুল তানিয়ার কথামতো ফতুল্লার রামারবাগের ওই বাড়িতে যাবার পরে তাকে আটক করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করা হয়। পরে কামরুলের মোবাইল দিয়ে তার আত্মীয়-স্বজনকে ফোন দিয়ে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে চক্রটি। পরে আত্মীয়-স্বজনরা ওই চক্রের দেয়া একটি নম্বরে ২০ হাজার টাকা পাঠায়। একপর্যায়ে কামরুল আত্মীয়-স্বজনকে ফোন দেবার কথা বলে বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে তাদের আটক করে।
ওসি আসলাম হোসেন আরও জানায়, এটি একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। এই চক্রের বিরুদ্ধে ঢাকার ডিএমপিতে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। এই চক্রের হাতে আরো অনেকেই প্রতারণার শিকার হতে পারেন। এসব বিষয়ে অনুসন্ধান করা হচ্ছে।