সিদ্ধিরগঞ্জে হচ্ছে ‘ক্ষুদে হাতিরঝিল’

 

ইসমাইল হোসেন মিলন, সিদ্ধিরগঞ্জ, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: অনেকটা হাতিরঝিলের আদলে নির্মাণ করা হচ্ছে সিদ্ধিরগঞ্জের ঐতিহাসিক ডিএনডি খালকে। তৈরী করা হচ্ছে নান্দনিক ৬ টি ব্রীজও। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে দু’টি প্যাকেজে প্রায় শত কোটি টাকা ব্যয় করছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন। জাইকার অর্থায়নে সিদ্ধিরগঞ্জ ভাঙ্গারপুল থেকে শিমরাইল গলাকাটা ব্রীজ পর্যন্ত ডিএনডির প্রধান খাল পুনঃখনন ও খালের পশ্চিম পাড়ে নির্মাণ করা হচ্ছে রাস্তা। ৬টি ব্রীজের পাশাপাশি নির্মাণ করা হবে ওয়াকওয়ে। সেই সাথে হবে ডিএনডি খালের সৌন্দর্য বর্ধনও। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স উদয়ন বিল্ডার্স (জেভি) এর মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন পুরো প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে ১৫ মাসের মধ্যে।

 

২০১৯ সালের ১১ ফ্রেব্রুয়ারী ও ৩ মে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভি প্রকল্পটির দৃষ্টিনন্দন ব্রীজ ও রাস্তার কাজের উদ্বোধন করেন। সেই থেকে চলছে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে মহাকর্মযজ্ঞ।

 

সিটি গভর্নেন্স প্রজেক্টের (সিজিপি) আওতায় সিদ্ধিরগঞ্জের আওতাধীন সিটি কর্পোরেশনের ৩নং ওয়ার্ডস্থ গলাকাটা পুল থেকে ৮নং ওয়ার্ডস্থ ভাঙ্গার পুল পর্যন্ত সাড়ে ৫ কিলোমিটার ডিএনডি খালের সৌন্দর্য বর্ধনে প্রায় ৬৩ কোটি ৪৮ লক্ষ এবং খালের উপর ৬টি দৃষ্টিনন্দন ব্রীজ নির্মাণে ৩৫ কোটি ৮৪ লক্ষ্য টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার হাতিরঝীলের আদলে ৩টি লোডেড এবং ৩টি ফুটওভার ব্রীজ নির্মিত হবে। ২০২০ সালের শেষের দিকে চলমান এই প্রকল্পটির মূল কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছে ঠিকারদারী প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশলীরা। ফলে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঐতিহাসিক ডিএনডি ক্যানেলটি সিদ্ধিরগঞ্জের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে।

 

এদিকে হাতিরঝিলের আদলে প্রকল্পটির কাজ হাতে নেওয়ার ফলে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে সাধুবাদ জানিয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জবাসী।

 

 

 

 

 

স্থানীয়রা জানান, এমন একটি সৌন্দর্য ও দৃষ্টিনন্দিত কাজ হাতে নেওয়ায় আমরা অনেক খুশি। কেনান, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা সিদ্ধিরগঞ্জে একটি দৃষ্টিনন্দন বিনোদন কেন্দ্র পেতে যাচ্ছি। যার মাধ্যমে সিদ্ধিরগঞ্জের চেহারাই অনেকটাই বদলে যাবে।

 

 

চলমান এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে কিছু প্রতিবন্ধকতার মুখেও পড়তে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের। প্রকল্পটির প্রধান প্রকৌশলী নীহার ভট্টাচার্য জানান, আমরা স্থানীয় জনগনের সার্বিক সহযোগিতা পাচ্ছি। তবে কিছু প্রতিবন্ধকতার কারণে কাজ করতে গিয়ে কিছুটা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটি, ওয়াসার পানির পাইপ এবং কল-কারখানার বর্জ্য অপসারণের পাইপ। বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য ওয়াসার পানি সরবরাহের পাইপ এবং কারখানার বর্জ্য পানি অপসারণের পাইপ দিয়ে প্রতিনিয়ত পানি নির্গত হওয়ার কারণে খালের মাটি কর্দমাক্ত হয়ে যায়। তাছাড়া খালের পাশে গৃহস্থালির ময়লা-আবর্জনাও সরাতে হচ্ছে। এতে করে বেশি সময় লাগছে।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com