বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী: রূপগঞ্জে ১৫ ব্যাপি আয়োজন
মাহবুব আলম প্রিয়, রূপগঞ্জ , প্রেসবাংলা২৪ডটকম : বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ছিলো গত ১০ জানুয়ারী। সারাদেশেই জাতির পিতার সেই ঐতিহাসিক মুহুর্তকে স্মরণ করতে নেয়া হয়েছে নানা কর্মসূচী। আবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীর ক্ষণগণনায় যুগান্তকারী অনুষ্ঠানমালায় এক উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজমান প্রায় সারাদেশেই। তবে অনেকটাই ব্যতিক্রম রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজন।
রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের ১৫দিন ব্যাপি নানা আয়োজনে রয়েছে-বঙ্গবন্ধু ফুটবল টূর্ণামেন্ট, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা ফুটবল টূর্ণামেন্ট, বৃক্ষ রোপন, পরিচ্ছন্ন অভিযান, চিত্র প্রদর্শনী, বঙ্গবন্ধুর জীবনী আলোচনা সভা, সেমিনার, শীত বস্ত্র বিতরণসহ নানা আয়োজন।
পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতিক) এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম এ আয়োজনের উদ্যোগ নেন।
উপজেলা পরিষদ ভবনের প্রবেশমুখে বর্তমান ইউএনওর উদ্যোগে তৈরী বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে এতে উপজেলা আওয়ামীলীগ, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ সকল শ্রেণি পেশার লোকজন অংশ নেন।
শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে চেনেন হাতে কলমে। উপজেলা চত্ত্বরের চারপাশ এমনকি ৪ কিলোমিটার জুড়ে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজরিত ব্যানার,ফেস্টুনের ছেঁয়ে যায়। এসব ব্যানারে শোভা পায় বঙ্গবন্ধুর শৈশব, রাজনৈতিক জীবন এবং নানা ঐতিহাসিক স্মৃতিময় স্থিরচিত্র। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের মাঝে চিত্রাঙ্কন,বার্ষিক ক্রীড়াসহ নানা প্রতিযোগীতা,পুরস্কার বিতরণ আয়োজন ছিলো দেখার মতো। বিগত সময়ে সরকারের উন্নয়ন চিত্র ও ভবিষ্যত পরিকল্পণা নিয়ে আয়োজন দেখে সন্তুষ্ট স্থানীয়রা।
এ এইচ বি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থী মাহিরা তাসফি প্রভা বলেন, উপজেলা চত্ত্বরজুড়ে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এমন আয়োজন দেখে খুব ভালো লাগছে। রাস্তার পাশ দিয়ে ছবি দেখতে দেখতে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম। যা এতোদিন জানি নাই। সবচেয়ে কষ্ট পেয়েছি ১৫ আগষ্টের স্বপরিবারে হত্যার ঘটনা।
এ বিষয়ে উপজেলা জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, উপজেলাবাসী এই প্রথম বঙ্গবন্ধুকে জানার জন্য, বুঝার জন্য উন্মুক্ত পরিবেশ পেলো। যা ইতোপূর্বে দেখে নি। এভাবে আরো আয়োজন হলে বাঙ্গালি জাতি স্বত্তার জাতির পিতাকে জানতে পারবেন জনসাধারণ।
এ প্রসঙ্গে রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মীর আব্দুল আলীম বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঋণ আমরা শোধ করতে পারবো না। এ মহান মানুষটিকে নিয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আমরা সন্তুষ্ট। জন্মশত বার্ষিকীর ঐতিহাসিক ক্ষণগণনা শুরু করেছি। সে মাহিন্দ্রক্ষণ আমরা নতুন প্রজন্মকে নিয়ে উপভোগ করবো। আয়োজন থাকবে আরো জমকালো।
এ প্রসঙ্গে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম বলেন, আমরা জাতির পিতাকে তার স্বপ্নকে গবেষনা করছি। যা পেয়েছি তা হলো একটি সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার সুযোগ্য কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে বেগবান করতে কাজ করছি। উন্নয়ন আর সমৃদ্ধ বাংলা গড়তে প্রতিটি নাগরিকের এগিয়ে আসা উচিত। রূপগঞ্জে জন্মশত বার্ষিকীর আয়োজন হবে সারা দেশের জন্য মডেল।