‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন’ দিবসে না’গঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছা’লীগের পুস্পস্তবক অর্পণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মোঃ জুয়েল হোসেনের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
শুক্রবার (১০জানুয়ারী) সকালে নগরীর কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
জুয়েল হোসেন বলেন, যার জন্ম না হলে আমরা এই দেশ পেতাম না যার নেতৃত্ব না পেলে আমরা স্বাধীনতা পেতাম না আজ সেই মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। এই দিনে মহানয়ক শেখ মুজিবকে আমরা অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। সেই সাথে তাঁর সুযোগ্য কন্যা উন্নয়ণের রূপকার বিশ^ মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং আমার প্রান প্রিয় নেতা নারায়ণগঞ্জের গণমানুষের নেতা শামীম ওসমানের নেতৃত্বে মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগ আওয়ামীলীগ তথা দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করে যাবে এই প্রত্যাশা রেখে আজকের দিনটি স্মরণ করতে চাই।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি মানিক শেখ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম জয়, সাংগঠনিক সম্পাদক মুরাদ হোসেন মোক্তার, প্রচার ও প্রকাশনা আল আমীন, সহ-প্রচার সম্পাদক উজ্জল, সহ-দপ্তর রাকিবুল হাসান রেসিন, সহ-আইন বিষয়ক সজিব মোল্লা, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এমি আহম্মেদ, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক এস আলম রাসেল, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক বুলবুল আহম্মেদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক কাজী ওয়াসিম, ত্রান ও দূর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল, কার্যকরি সদস্য আবুবকর সিদ্দিক বাবু, মোঃ নাদিম শেখ, আমির হোসেন, বাবুল দেওয়ান, আজাহার আলী রাসেল, মারুফ জাহান, মাহাবুব, সোহাগ, জাহিদ হাসান, পাপ্পু, ইমন হাসান, হেলাল, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা নোমান আহম্মেদ, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হাজ্বী জহির, আলমগীর, জব্বার প্রমুখ।
উল্লেখ্য ১৯৭২ সালের এই দিনে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি পাকিস্তানের কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠ থেকে মুক্তি লাভ করে তার স্বপ্নের স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে ফিরে আসেন।
বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করে। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে থেকে মুক্ত-স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসার মাধ্যমে সে বিজয় পূর্ণতা লাভ করে। এইদিন স্বাধীন বাংলার আকাশে সূর্যোদয়ের মতো চিরভাস্বর-উজ্জ্বল মহান নেতা ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফিরে আসেন তার প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে।
স্বদেশের মাটি ছুঁয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসের নির্মাতা শিশুর মতো আবেগে আকুল হলেন। আনন্দ-বেদনার অশ্রুধারা নামল তার দু’চোখ বেয়ে। প্রিয় নেতাকে ফিরে পেয়ে সেদিন সাড়ে সাত কোটি বাঙালি আনন্দাশ্রুতে সিক্ত হয়ে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ধ্বনিতে প্রকম্পিত করে তোলে বাংলার আকাশ-বাতাস। জনগণনন্দিত শেখ মুজিব সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দাঁড়িয়ে তার ঐতিহাসিক ধ্রুপদী বক্তৃতায় বলেন, ‘যে মাটিকে আমি এত ভালোবাসি, যে মানুষকে আমি এত ভালোবাসি, যে জাতিকে আমি এত ভালোবাসি, আমি জানতাম না সে বাংলায় আমি যেতে পারব কিনা। আজ আমি বাংলায় ফিরে এসেছি বাংলার ভাইদের কাছে, মায়েদের কাছে, বোনদের কাছে। বাংলা আমার স্বাধীন, বাংলাদেশ আজ স্বাধীন।’
১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন সদ্যস্বাধীন বাঙালি জাতির কাছে ছিল একটি বড় প্রেরণা। তার এই প্রত্যাবর্তনকে আখ্যায়িত করা হয়েছিল ‘‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা হিসেবে”। দীর্ঘ সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতিক্ষা, আন্দোলন ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নেয়ার প্রশ্নে বাঙালি জাতি যখন কঠিন এক বাস্তবতার মুখোমুখি তখন পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।