পদ্মা সেতুর ২০তম স্প্যান বসানোর কাজ সম্পন্ন

প্রতিবেদক, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে মঙ্গলবার দুপুরে পদ্মা সেতুর ২০তম স্প্যান বসানো হয়েছে। দুপুর ১টার দিকে সেতুর ১৮ ও ১৯ নম্বর পিলারের ওপর ‘৩ এফ’ নামে এ স্প্যানটি বসানো হয়। এর মধ্যদিয়ে পদ্মা সেতুর তিন কিলোমিটার তথা প্রায় অর্ধেক দৃশ্যমান হয়েছে।
সেতুর ১৯তম স্প্যান বসানোর মাত্র ১৩ দিনের ব্যবধানে ২০তম স্প্যান বসানো হলো। এ নিয়ে বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে সেতুর মোট তিনটি স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। সব মিলিয়ে ২০১৯ সালে সেতুর মোট ১৩টি স্প্যান বসানো হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যান নিয়ে সেতুর নির্ধারিত পিলারের উদ্দেশে রওনা দেয় ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই।
পদ্মা সেতুর সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর জানান, ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ‘৩ এফ’ স্প্যান নিয়ে নির্ধারিত পিলারের কাছে পৌঁছায়। এরপর সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা স্প্যান বসানোর কর্মযজ্ঞ শুরু করে। দীর্ঘ তিন ঘণ্টা প্রচেষ্টা চালিয়ে দুপুর ১টার দিকে স্প্যানটি বসাতে সক্ষম হন সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা।
পদ্মা সেতুতে মোট ৪২টি পিয়ারের মধ্যে বর্তমানে কাজ সম্পন্ন হয়েছে ৩৬টির। বাকি ৬টি পিয়ারের কাজ আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে শেষ হবে। সেতুতে ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাব মধ্যে ৪৩৯টি স্ল্যাব বসানো হয়েছে। আর ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে ১৫০টি স্ল্যাব বসানো সম্পন্ন হয়েছে। পদ্মা সেতুর মোট ৪১টি স্প্যানের মধ্যে চীন থেকে মাওয়ায় এসেছে ৩৩টি স্প্যান। এর মধ্যে ২০টি স্প্যান স্থায়ীভাবে বসে গেছে।
গত ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। আর নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
মোট ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালেই পদ্মা সেতু খুলে দেওয়ার কথা রয়েছে।