সোনারগাঁয় বালুর টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যুবক খুন

সোনারগাঁ প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: মেঘনা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জাকির হোসেন (৩২) নামে এক যুবক খুন হয়েছে। রোববার (১ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার আনন্দবাজার এলাকায় এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৫ জন। নিহত জাকির সেটেকপাা আমিরাবাদ এলাকার মৃত আরজ আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নবী হোসেন ও আইযুব আলী মেম্বারের ছেলে সিরাজ সহ ২২জনকে আসামী করে থানা হত্যা মামলা করেন নিহতের বড় ভাই মনির হোসেন।
অন্যদিকে আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আনন্দবাজার এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, চিহ্নিত একজন বালু সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে আনন্দবাজার ও নুনেরটেক এলাকায় মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে আসছে। কিন্তু আনন্দ বাজার এলাকার মৃত শহীদুল্লাহর মেম্বারের ছেলে নবী হোসেন ও নজরুল মিয়া ছয় মাস ধরে তাদের দখলে নিয়ে নেন। নবী হোসেন গ্রুপকে ঠেকাতে একই গ্রামের আমির হোসেনকে তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়ে দেন পর্দার আড়ালে থাকা সেই নেতা। গত রবিবার রাতে বালুমহলের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে নবী হোসেন ও আমির হোসেনের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় উভয় পক্ষ আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে টেকপাড়া আমিরাবাদ এলাকার নুর মিয়ার ছেলে আল-আমিন (৩৩), ইয়ানুসের ছেলে আবু হানিফ (৩১) ও আইয়ুব আলী মেম্বারের ছেলে সিরাজ (৩৭) সহ ৫ জন মারাত্মক আহত হয়। আহতের উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়ার পথে জাকির হোসেন মারা যান।
নিহত জাকির হোসেনের বড় ভাই মনির হোসেনের অভিযোগ, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নবী হোসেন ও আইযুব আলী মেম্বারের ছেলে সিরাজের নেতৃত্বে তার ভাই জাকির হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে যাওয়া সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আলমগীর হোসেন জানান, রাত ১১টার দিকে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয় এতে জাকির নামে একজন নিহত হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে এ খুন হয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, জাকির হোসেন নামে একজন খুন হওয়ার পর পুলিশের একটি টিম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
Like!! I blog quite often and I genuinely thank you for your information. The article has truly peaked my interest.