পরিচয় উদ্ধারে আটকে আছে মামলার তদন্ত
সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: পরিচয় উদ্ধার করতে না পারায় আটকে আছে একটি হত্যা মামলার তদন্ত। গত ৮ মাসেও শনাক্ত হয়নি শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধারকৃত অজ্ঞাত এক পুরুষ মৃতদেহ। উদ্ধারের ৪ মাস পর লাশটি বেওয়ারিশ হিসেবে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে কবর দেওয়া হয়।
গত ২৯ মার্চ সিদ্ধিরগঞ্জের ইপিজেডের পেছনে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহটি নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হলে, তাতে শ্বাসরোধে হত্যার কথা উল্লেখ করা হয়।
এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক জিয়াউদ্দিন উজ্জ্বল বলেন, লাশটি উদ্ধারের সময় অর্ধগলিত থাকায় পরিচয় শনাক্তের জন্য আঙ্গুলের ছাপও নেওয়া সম্ভব হয়নি। লাশের কোন পরিচয় না পাওয়ায় হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে বেগ পেতে হচ্ছে তাদের।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ মার্চ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার আদমজী এলাকার ইপিজেডের পেছনে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে একজন পুরুষের মৃতদেহ স্থানীয়দের নজরে আসে। খবর পেয়ে পুলিশ দুপুর ১২টার দিকে লাশটি অর্ধগলিত অবস্থায় উদ্ধার করে। লাশটি পারে উঠানোর পর দেখা যায়, তার পরনে ছিল ফুল হাতা ছাপা শার্ট এবং কালো রংয়ের ফুল প্যান্ট। বয়স আনুমানিক ৩০ এবং উচ্চতা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি। এ ঘটনায় তখন থানায় অপমৃত্যু মামলা করা হয়। পরে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টেরিয়া) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
ময়নাতদন্তকারী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আসাদুজ্জামান ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানান, অজ্ঞাত ওই ব্যক্তিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
লাশটির কোন পরিচয় না পাওয়ায় চলতি বছরের জুলাই মাসে বেওয়ারিশ হিসেবে লাশটি দাফন করা হয়।
সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক জিয়াউদ্দিন উজ্জ্বল বলেন, এই মামলার কূল কিনারা করতে আগে প্রয়োজন লাশের পরিচয়। তারপর হত্যার রহস্য উদঘাটনের কাজ। কিন্তু গত ৮ মাসেও লাশের কোন পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। লাশ উদ্ধারের পর গণমাধ্যমে ছবিসহ সংবাদ আসার পরও আজ পর্যন্ত লাশের পরিচয় জানতে কোনদিক থেকেই কারও সাড়া পাচ্ছি না।