নির্যাতনের পরে টয়লেটের পানি খাওয়ালো ‘বড় ভাই’
বন্দর প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: ‘বড় ভাই’ গ্রুপের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষের কাছে নালিশ করায় আশিক নামের এক শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতন শেষে টয়লেটের পানি পান করার হয়েছে। বন্দরের সোনাকান্দাস্থ কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজীতে (বিআইএমটি) এ ঘটনা ঘটে।
জুনিয়র শিক্ষার্থীদের দিয়ে শারীরিক কসরত, জামা-কাপড় ধোয়ানোসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে আশিক অধ্যক্ষ বরাবর নালিশ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে তিন ‘বড় ভাই’ রিয়াজুল, গোলাম আজম ও আলিফ এ ঘটনা ঘটায়।
নির্যাতিত আশিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রথম বর্ষের ছাত্র। আশিক খুলনা জেলার খালিশপুর উপজেলার ভয়রা গ্রামের মাসুম বিল্লাহর ছেলে। এ ঘটনায় আশিকের বাবা ওই তিনজনকে আসামী করে থানায় অভিযোগ করেন।
এদিকে ঘটনা তদন্তে প্রতিষ্ঠানটি ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
অন্যদিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানায়, মেরিন টেকনোলজিতে রিয়াজুল, গোলাম আজম ও আলিফের নেতৃত্বে বড় ভাই খ্যাত গ্যাংস্টার নামে একটি বাহিনী গঠন করে প্রতিষ্ঠানের ভেতরে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের দিয়ে শারীরিক কসরত, কাপড় ধোয়ানোসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকা- করে আসছিল।
তাদের এ কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে আশিক প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপালের নিকট নালিশ জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বড়ভাই গ্রুপটি বৃহস্পতিবার রাতে আসিককে ধরে ছাত্রবাসের পুরাতন ভবনে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ইলেকট্রিক শক দিয়ে নির্যাতন চালায় গ্রুপটি। রাতভর নির্যাতনের পর ভোরে আশিক পানি পান করতে চাইলে টয়লেটে থাকা পাত্র দিয়ে পানি খাওয়ানো হয়।
সকালে আহতাবস্থায় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
বিআইএমটি’র প্রিন্সিপাল প্রকৌশলী শরীফা সুলতানা ঘটনার সততা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আশিককে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। এ ঘটনায় সিনিয়র পরিদর্শক তাকিউদ্দিন সানিকে প্রধান করে ৯ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে।
এদিকে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার শিকার শিক্ষার্থীর পিতা মাসুম বিল্লাহ বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।