৮ ঘণ্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক!
প্রতিবেদক, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: টানা ৮ ঘণ্টা দুর্ভোগের পর বেলা ২টায় অঘোষিত ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। ফলে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী সকল বাস ও গণপরিবহন চলাচল শুরু করেছে। এছাড়া ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নিলে স্বাভাবিক হয় ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল।
বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল থেকে নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জে পরিবহন শ্রমিক ও এবং চালকদের অঘোষিত ধর্মঘটের কারণে চরম ভোগান্তি আর দুর্ভোগের শিকার হতে হয় লাখ লাখ মানুষকে।
বেশি সমস্যায় পড়েছে পরীক্ষার্থী, শিক্ষার্থী ও অফিসগামী লোকজন। জেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখায় যানজটের সৃষ্টি হওয়ায় পিইসি পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা চরম ভোগান্তি আর দুর্ভোগের শিকার হয়েছিলেন। তাদের পায়ে হেটে যেতে হয়েছে পরীক্ষা কেন্দ্রে।
পরিবহন শ্রমিকরা জানান, মন্ত্রীদের সঙ্গে শ্রমিক নেতাদের বৈঠকের কারণে আপাতত সাময়িকভাবে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। দাবি না মানলে প্রয়োজনে আবারও ধর্মঘট করা হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৬টা থেকেই পরিবহন শ্রমিকরা সাইনবোর্ড এলাকায় দাবি আদায়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তখন ব্যক্তিমালিকাধীনসহ বেসরকারি গাড়ি চলাচল করছিল। পরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড এলাকায় এলোপাথাড়ি যানবাহন ফেলে রেখে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ঢাকামুখী রাস্তা বন্ধ করে দেয়।
এতে করে শিবু মার্কেট থেকেই এ সড়ক তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে যানবাহন। অতিষ্ঠ হয়ে যাত্রীরা যানবাহন থেকে নেমে হেঁটে যেতে শুরু করেন।
সরেজমিন চাষাড়া এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা যাত্রীরা চাষাড়া বাস টার্মিনালে যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করেন। কোনো বাস থাকায় অনেকেই বাসায় ফিরে যান। আর যারা জরুরি প্রয়োজনে বের হয়েছে তাদের কেউ ট্রেনের জন্য আবার কেউ হেঁটে রওনা হন কিংবা রিকশায়। সিএনজি অটোরিকশাও চলাচলে বাধা দিতে দেখা যায় শ্রমিকদের। শুধু প্রাইভেটকার, অ্যাম্বুলেন্স, রিকশা ও লেগুনা চলাচল করতে দেখা যায়।
সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) জয়নাল আবেদীন জানান, যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।