বক্তাবলীতে রহিম হাজীর ইটভাটা দখলের পাঁয়তারা সামেদ হাজীর!

 

ফতুল্লা প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: ফতুল্লার বক্তাবলী মামলাকে পুঁজি করে রহিম হাজীর ইটভাটা দখলের পাঁয়তারা করছে সামেদ হাজী। ক্ষমতাসীন দলের প্রভার ও পুলিশের প্রত্যক্ষ মদদে বক্তাবলীর আকবরনগরের ওই ইটভাটাটি থেকে শ্রমিকদের মারধর করে বের করে দিয়েছে সামেদ হাজীর লোকজন। গত ১৮ নভেম্বর দুই পক্ষের সংর্ঘষের ঘটনায় রহিম হাজী ও তার আত্মীয়-স্বজনকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। ওই মামলায় তারা জেলে রয়েছে।

 

রহিম হাজীর পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ সামেদ হাজীর পক্ষ নিয়ে নিজেরাই বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। দুই পক্ষ সংর্ঘষে জড়ালেও সামেদ হাজী গ্রুপের লোকজনের কারো নাম নেই। এমনকি ওই পক্ষের কাউকেই আটক করা হয়নি।

 

এদিকে মামলায় গ্রেফতারের পর পুলিশি আতঙ্কে পরিবারের লোকজন এলাকা ছাড়া হবার সুবাদে রহিম হাজীর ইটভাটাটি দখল করে নেয়ার পাঁয়তারা করছে সামেদ হাজী। সোমবার ঘটনার দিনেই সন্ধ্যায় ইটভাটার শ্রমিকদের মারধর করে বের করে দেয়া হয়েছে। এমনকি রাতেই ওই ইটভাটায় অবস্থান নেয় সামেদ হাজীর লোকজন।

 

বুধবার (২০ নভেম্বর) সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া গেছে।

 

নিউ ন্যাশনাল ব্রিক নামের ওই ইটভাটার ম্যানেজার টারজান জানান, বুধবার দুপুরে তিনজন শ্রমিক ইটভাটায় প্রবেশ করার পরে তাদের মেরে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়া হয়। পরে তাদের অস্ত্র দেখিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়।

 

রহিম হাজী পুত্র কবির হোসেন জানান, মারামারিতে দুই পক্ষ জড়ালেও পুলিশ আমাদেরকে আসামী করেছে। এমনটি ইটভাটায় ডেকে নিয়ে আমার বাবাকে এ মামলায় আসামী করা হয়েছে।

 

কবির হোসেনের অভিযোগ, ইটভাটাটির নামে ব্যাংকলোন রয়েছে। শীতকালই ইটের মৌসুম। এ মৌসুমে যদি খোলাটি বন্ধ থাকে তবে কমপক্ষে অর্ধকোটি টাকা লোকসান গুণতে হবে। কিন্তু ইটভাটায় আমাদের শ্রমিকরা ঢুকতেই পারছে না। ইটভাটাটি সামেদ হাজীর লোকজন দখল করে নিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ যেন দেখেও না দেখার ভান করছে।

 

কবির হোসেনের অভিযোগ, ইতোমধ্যে সামেদ হাজীর লোকজন সাত লাখ টাকা মূল্যের একটি মোটর ও ইট তৈরির দু’টি মেশিন লুট করে নিয়ে গেছে।

 

স্থানীয়রা জানায়, আকবরনগর গ্রামে সামেদ হাজী ও রহিম হাজীর বিরোধ দীর্ঘদিনের। কারণে অকারণে এই দুই গ্রুপ বিরোধে জড়াত। টেঁটা, বল্লম ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মাঠে নামতো এই দুই গ্রুপ। পুলিশ সুপার হারুণ অর রশিদ থাকাকালে এই দীর্ঘদিনের বিরোধ সমাধান করে দেন। দুইজনকে মিলিয়ে দেন। কিন্তু পুলিশ সুপার চলে যাবার পরে ফের বিরোধে জড়াল এই দুই পক্ষ।

 

তবে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম শওকত আলী।

 

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, অন্যায়ভাবে কেউ কারো সম্পদ দখল করতে পারবে না। এটা তো হতে পারে না। যদি সামেদ হাজী গং এসব কাজ করার অভিযোগ পাওয়া যায় তবে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া।

 

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে ওই এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশ রয়েছে। তারা চাইলে তাদের সাহায্যও নিতে পারে।

 

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com