বিদেশ পালিয়ে যাবার সময় প্রতারক কাওসার পাকড়াও

 

ফতুল্লা প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণা মামলার আসামী কাওসার মাহমুদকে গ্রেফতার করেছে বিমান বন্দর থানা পুলিশ। কৌশলে ব্রুনাই পালিয়ে যেতে গিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি তার।

 

সোমবার (১৯ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর বিমান বন্দর থানা পুলিশ তাকে আটক করে। পরে তাকে ফতুল্লা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) কাওসারকে আদালতে হাজির করে ৫দিনের রিমা- চায় পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত কাওসার মাহমুদ মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার হাড়ভাঙ্গা গ্রামের আমসারের পুত্র।

 

কাওসার মাহমুদকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শুভ আহমেদ।

 

পুলিশ জানায়, ফতুল্লা থানার অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণা মামলার আসামী কাওসার মাহমুদ সোমবার রাতের একটি ফ্লাইটে ব্রুনাই যাবার সময় তাকে আটক করে বিমান বন্দর পুলিশ। পরে ফতুল্লা থানা পুলিশকে খবর দিলে তাকে আটক করে নিয়ে আসে।

 

মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ব্রুনাই থাকার সুবাদে ফতুল্লা থানার পূর্ব গোপালনগরের জাহাঙ্গীরের সাথে প্রতারক কাওসার মাহমুদের পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে জাহাঙ্গীরকে কয়েকজনকে ব্রুনাই নেয়ার প্রস্তার দেয়। কাওসারের কথামত জাহাঙ্গীর তার ভাগিনা শান্ত মোল্লা, সিহাব মোল্লা, ভাতিজা মাসুম মিয়া, শাকিল আহমেদ, হাসান, সঙ্গী, ভাই স্বপন ভুইয়াকে বিদেশ নেবার চূড়ান্ত কর্থাবার্তা হয়। কাওসার প্রত্যেকের জন্য সাড়ে তিন লাখ টাকা করে দাবি করে। এজন্য বিদেশ যাবার আগে জনপ্রতি আড়াই লাখ টাকা দিতে হবে জানায়। বাকি টাকা বিদেশ পৌছালে পরিশোধ করতে হবে-এমন সিদ্ধান্ত হবার পরে কয়েকদফায় নগদ ও চেকের মাধ্যমে কাওসারকে মোট ১৩লাখ ৫৮ হাজার টাকা দেয়। কিন্তু বিগত ১৬ জুন দুইজনের ভিসা ও টিকেট কনফার্ম হয়েছে বলে জানায়। তবে বিমান বন্দরে গিয়ে জানা যায় ভিসা ও টিকেট উভয়ই জাল। এরপর থেকে কাওসারের কাছে টাকা চাইলে নানা টালবাহানা করে। পরবর্তীতে জাহাঙ্গীরকে পরিবারসহ মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেয়।

 

পরবর্তীতে এ ঘটনায় জাহাঙ্গীরের স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম বাদী হয়ে গত ২১ জুন থানায় মামলা করেন। মামলা নং-৭৮।

 

 

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com