আকবরনগরে আলোচিত সেই দুুই হাজী ফের যুদ্ধের মাঠে!
ফতুল্লা প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: বক্তাবলীতে আলোচিত দুই হাজীর দ্বন্দ্ব আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ফের সংর্ঘর্ষে লিপ্ত হয়েছেন সামেদ হাজী ও রহিম হাজীর গ্রুপ। আলোচিত পুলিশ সুপার হারুণ অর রশিদ এই দুই হাজীকে সমঝোতার মাধ্যমে দীর্ঘদিনের বিরোধ মিটিয়ে দেন। পুলিশ সুপার চলে যাবার পরে এই প্রথম আবারো প্রকাশ্য যুদ্ধে নামল এই দুই হাজীর সমর্থকরা।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে বক্তাবলীর আকবরনগরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংর্ঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গেছেন-এএসপি মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী ও ফতুল্লা থানার ওসি আসলাম হোসেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৪ জনকে আটক করে। রহিম হাজ্বীর ভাইয়ের বাড়ীর পাশের পরিত্যক্ত জায়গা হতে ৩০টি টেঁটা উদ্ধার করে পুলিশ।এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউ- গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, দুপুরে সামেদ হাজী ও রহিম হাজীর লোকজন দফায় দফায় সংর্ঘর্ষে জড়ায়। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে।
পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। সহকারী পুলিশ সুপার ( ক- অঞ্চল) মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী, ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আসলাম হোসেন ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন। পুলিশ রহিম হাজীর পুত্র মিলন, বোনের ছেলে এরশাদ, আনোয়ার হোসেন ও সিয়ামকে আটক করে।
রহিম হাজ্বীর লোকজনের দাবী, রহিম হাজ্বীর ভাতিজা জিহাদ ও আল আমিন তার দোকান থেকে মাল সরিয়ে আনতে গেলে সামেদ আলীর লোকজন মারধর করে। খবর পেয়ে রহিম হাজ্বী ঘটনাস্থল গেলে তাকেও মারধর করে সামেদ আলীর লোকজন। এমনকি রহিম হাজ্বীর ইটভাটার শ্রমিকদের হুমকি দিয়ে ইটভাটা হতে তাড়িয়ে দেয়া হয়।
রহিম হাজীর অভিযোগ, বক্তাবলী পুলিশ ফাঁড়ির লোকজন সামেদ আলী হাজীর পক্ষে কাজ করে। একদিকে আওয়ামীলীগের সভাপতি হয়েছেন, অন্যদিকে পুত্ররা হত্যা মামলায় জামিনে বেরিয়ে এসে আরো বেপরোয়া হয়েছে সামেদ আলী।
তবে সামেদ আলীর স্ত্রী জানান, জসিম নামে আমার এক আত্মীয় গাছ কাটতে গেলে রহিমের লোকজন জসিমকে মারধর করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে তাকে ছাড়িয়ে আনতে গিয়ে সংর্ঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় দুইজন আহত হয়। এরা হলেন-রাজু ও ইউসুব আলী।
মেহেদী ইমরান সিদ্দীকি সাংবাদিকদের জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।