সরকারীভাবে কাদিয়ানীদের কাফের ঘোষণা করতে হবে: আল্লামা শফি
ফতুল্লা প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: কাদিয়ানীদের সরকারীভাবে কাফের ঘোষণা দেয়ার দাবি জানিয়ে হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা আহমদ শফি বলেছেন, কয়েক দিন আগে আমার কাছে দুইজন লোক এসেছিল। আমি তাদের সামনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করেছিলাম। তাঁকে বলেছি যে গোলাম আহমদ কাদিয়ানী কাফের। এই কথা যে স্বীকার না করবে সেও কাফের। আপনি প্রধানমন্ত্রীকে এই কথাটা ভালো করে বুঝিয়ে বলবেন। এই কথাও বলবেন যে, আমি তাঁর খেদমতে হাজির হতে পারি এই বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য। তাঁদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে কাফেরের দলিল দিতে হবে।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে বাংলাদেশ কওমী মাদ্রাসা বোর্ড (বেফাক) নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জের কৃতি শিক্ষার্র্থীদের সংবর্ধনা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিকে আল্লামা আহমদ শফি হেলিকপ্টার যোগে নারায়ণগঞ্জের একটি মাঠে নামেন। পরে তাকে আলেমরা এবং অনুষ্ঠানের আয়োজকরা তাকে অভর্থণা জানান। পরে মাঠ থেকে একটি গাড়ি যোগে অনুষ্ঠানস্থল প্রবেশ করেন।
তিনি আরো বলেন, ‘অনেকে আমার কাছে এসেছিল এবং আমাকে বলেছে যে আপনি কাদিয়ানী সম্পর্কে যা বলবেন আমরা তাই মেনে নিব। আমি তাদেরকে বলেছি যে আমরা কিন্তু সনদ এমনি এমনি পাই নাই। আমরা সকলে একত্রিত হয়ে সরকারকে বলেছিলাম যে আমাদেরকে সনদ দিতে হবে। তাই সরকার আমাদেরকে সনদ দিয়েছেন। একই ভাবে আমরা সবাই যখন এক হয়ে সরকারকে বলব তখন সরকার আমাদের দাবি মেনে নিয়ে কাদিয়ানীকে কাফের ঘোষণা করতে বাধ্য হবে। কারণ তখন তারা চিন্তা করবে যে যদি ঘোষণা না করা হয় তাহলে তাঁদের সিট থাকবে না।’
আল্লাম শফি আরো বলেন, আমার পায়ে ব্যাথা তাই আমি হাঁটতে পারি না। তাই সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমার যাতায়াতের জন্য হেলিকপ্টার ব্যবহার করবে। এখন যেখানে যাই হেলিকপ্টারেই যাওয়া আসা করি। কিন্তু কিছু কিছু এমপি আছে তাঁরা প্রশ্ন করে যে আল্লামা শফি এত টাকা কই পায়? আবার আরেক এমপি তার জবাব দিয়েছেন যে আপনি এক বছরে ৪০বার হেলিকপ্টারে গেছেন আপনি এত টাকা কোথায় পেলেন? এটা নিয়ে তো কেউ আপনাকে প্রশ্ন কেরনি। শুধু মাওলানাদের হিসাব নিতে আসেন।
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমি যখন দাওড়ায়ে হাদিস পড়তাম তখন আমি সবার থেকে ছোট ছিলাম। আমার তখন দাঁড়িও উঠেনি। আমরা একসাথে ২৫০জন পড়তাম। কিন্তু আমার ওস্তাদ আমার নাম মনে রেখেছিলে। কারণ আমার ওস্তাদ বলেছেন যে আমার এখানে ২৫০জন পড়ে কিন্তু আমার শফির নাম মনে আছে কারণ ও সব সময় আমার সামনে বসে। যদি আমার সামনে না বসতো তাহলে আমার মত বুড়োর ক্ষমতা ছিল না তার নাম মনে রাখি। তাই তোমরাও সব সময় ওস্তাদের সামনে বসবে। দেখাবে এবার যারা পুরষ্কার পাওনাই পরের বার তোমরাও ভালো পুরষ্কার পাবা।