আস্ত ভবন খালে: খোঁজ মিলেনি সেই শিশু ওয়াজিদের
নগর প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: বাবুরাইলে চার তলা ভবন ধসের ঘটনার ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও নিখোঁজ ওয়াজিদের (১২) কোন খোঁজ মেলেনি। এদিকে দমকল বাহিনীর উদ্ধার কর্মীদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওয়াজিদের স্বজনরা। তারা বলছেন, এত সময় পেরিয়ে গেলো তবুও আমাদের সন্তানের খোঁজ মিললো না। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঠিকমতো কাজ করছে না।
রোববার (৩ নভেম্বর) বিকেল সোয়া চারটায় ফতুল্লা থানার এক নম্বর বাবুরাইলের শেষ মাথায় মুন্সিবাড়ি এলাকার এইচএম ম্যানশন নামে ভবনটি ধ্বসে পড়ে। এ ঘটনায় শোয়েব নামে এক স্কুলছাত্র নিহত ও ৩ জন আহত হয়।
ঘটনার সময় ভবনের ভেতরেই ছিল ওয়াজিদ। সে ওই ভবনের নিচ তলায় আরবি পড়তে গিয়েছিল। ধসে পড়ার সময় ওই ভবনে ওয়াজেদের সঙ্গে পড়ছিল আরেক শিশু স্বপ্না।
স্বপ্না জানায়, প্রতিদিনের মতো রবিবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে ওই ভবনে শিক্ষক সোনিয়া বেগমের কাছে তার সঙ্গে ওয়াজেদ ও শোয়েব আরবি পড়ছিল। তখন হঠাৎ শিক্ষক তাদের বলেন, ভবনটি কাঁপছে। এ কথা শোনার পরপরই তারা তিনজন পড়া রেখে উঠে দাঁড়ায়। এরপর কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভবনটি বিকট শব্দে ধসে পড়ে। তারা পানিতে তলিয়ে যায়। পরে অন্যরা কোনোমতে পানি থেকে উপরে উঠতে পারলেও ওয়াজেদ পারেনি। স্বপ্নাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। প্রায় দুই ঘণ্টা চিকিৎসার পর সে সুস্থ হয়ে ওঠে। পরে স্বজনরা তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। সেখান থেকে রাত ১০টায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসে। স্বপ্না ফায়ার সার্ভিসকে আরবি পড়ার রুমটি দেখিয়ে দেয়।
ভবন ধসের খবর শোনার পরপরই ঘটনাস্থলে পৌছায় দমকল বাহিনীর সদস্যরা। রোববার বিকেলে থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত এখনও ওয়াজিদকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে উদ্ধারকাজ অব্যাহত রেখেছে উদ্ধারকর্মীরা।
এ ব্যাপারে দমকল বাহিনীর ডুবুরি দলের সদস্য আব্দুস সোবাহান জানান, ছয়জন ডুবুরি উদ্ধার কাজে সহায়তা করছেন। ভবনটি ধসে নরম মাটির ভেতরে দেবে যাওয়ায় তারা ভবনের একেবারে নিচে যেতে পারছেন না।
তিনি আরও বলেন, ভবনের যে অংশটুকুতে তারা যেতে পারছেন সেখানে পা ঢুকিয়ে নানাভাবে তল্লাশি চালাচ্ছেন। তারা শিশুটিকে উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।