বাবুরাইলে আস্ত ৪ তলা ভবন খালে, নিহত ১
রুদ্র প্রকাশ, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: আস্ত ৪তলা ভবনটি ধসে পড়ে গেলো খালে। নগরীর বাবুরাইলে ওই ভবন ধসে শোয়েব (১২) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। রোববার (৩ নভেম্বর) বিকালে এইচএম ম্যানশন নামের ওই ভবনটি পাশ^বর্তী খালে পড়ে গিয়ে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। তবে স্থানীয়দের দাবি, এ ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ বলছে, একজন মারা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোববার বিকালে বাবুরাইলের শেষ মাথার মুন্সিবাড়ির ওই বাড়িটি হঠাৎ পশ্চিম দিকে হেলতে থাকে। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই পুরো ভবনটি পশ্চিম পাশে ঢলে পড়ে। পুরো ভবনটি গিয়ে পাশের একটি রিক্সার গ্যারেজের উপর পড়ে।
বাড়ির মালিক আজহার উদ্দিন মালয়েশিয়া প্রবাসী। তার বোন শিউলি এ বাড়িটি দেখাশোনা করতেন। পরিবারের সদস্যরা কেউ বাড়িতে ছিলেন না। আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকায় ভবনটি দোতলা ও তিনতলায় কেউ ছিলেন না। নিচতলায় একজন শিক্ষক তার মা-বোন ও দুই ভাগিনা নিয়ে এ বাড়িতে ছিলেন। ঘটনার সময় ওই শিক্ষকের বোন শাকিলা ও দুই পুত্র শোয়েব (১২) ও ওয়াজিদ (১৩) ও মা জেবুন্নেসা ভবনটিতে ছিলেন। ঘটনার পরে শোয়েবের লাশ পাওয়া গেলেও ওয়াজিদের কোন হদিস মিলেনি।
ঘটনার পরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ৪টি ইউনিট ও বিপুল সংখ্যক র্যাব-পুলিশ ঘটনাস্থলে উদ্ধারে কাজে নিয়োজিত হয়। তবে জীর্ণ এই সড়কটিতে উৎসকু মানুষের ভীড়ের কারণে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হয়।
অন্যদিকে ঘটনার পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন জেলা প্রশাসক মো: জসিম উদ্দিন। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হবে। ভবনটি ধসে পড়া ও অন্যান্য বিষয় তদন্ত করা হবে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে ২০ হাজার টাকা অনুদান দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র আফসানা আফরোজ বিভা, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যনা এম সাইফ উল্লাহ বাদল।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আরেফিন বলেন, বিকালে হঠাৎ ভবনটি ধসে পড়ে। এ ঘটনায় একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছে। উদ্ধার কাজ শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, খালের উপর অবৈধভাবে ভবনটি গড়ে তোলা হয়। তিন তলার পরে যখন ৪র্থ তলার করতে যায় তখন ছাদের ঢালাই ধসে পরে। এরপর থেকে ভয়ে কেউ আর তিনতলায় থাকেননি।