সোনারগাঁয়ে এবার গৃহকর্মীকে গণধর্ষণ
সোনারগাঁ প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: উপজেলায় কাজ দেবার কথা বলে এক গৃহকর্মীকে মোবাইল ফোনে বাসায় ডেকে এনে গণধর্ষণ করেছে ৪ জন যুবক। ঘটনার সাথে জড়িত অভিযুক্ত দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের বাগবাড়িয়া এলাকায় সোমবার (২৮ অক্টোবর) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটলে ওই গৃহকর্মী মঙ্গলবার রাতে বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় ৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। আর ঐ রাতেই দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের তালতলা বাগবাড়িয়া গ্রামের মৃত সুবহান মিয়ার ছেলে হাবিবুর ও নওগাঁ জেলার শিকারপুর গ্রামের মোতাহার প্রমানীকের ছেলে শাহীনুর ইসলাম।
ধর্ষণের শিকার গৃহকর্মী জানান, দীর্ঘদিন যাবত সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের বাগবাড়ীয়া গ্রামের হাবিবুরের বাড়ীতে ভাড়া থেকে বিভিন্ন লোকের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন তিনি। কাজের সুবিধার্থে সে বর্তমানে রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা এলাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস করে গৃহকর্মীর কাজ করে। হাবিবুরের বাসায় ভাড়া থাকা অবস্থায় হাবিবুর ও ওই গৃহকর্মীর কিছু আর্থিক লেনদেন হয়। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য হাবিবুর তার সহযোগী স্বপন ও শাহিনুরকে দিয়ে গৃহকর্মীকে ফোন করে হাবিবুরের বাসায় আসতে বলে। ওই গৃহকর্মী হাবিবুরের বাসায় আসলে তাকে জোরপূর্বক ৪জন মিলে গণধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ওই গৃহকর্মী অচেতন হয়ে পড়লে তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা। পরে গৃহকর্মী একটু সুস্থ হয়ে মঙ্গলবার রাতে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং একজনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে সোনারগাঁ থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করে।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামীরা হলো- সোনারগাঁ উপজেলার বাগবাড়িয়া এলাকার মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে হাবিবুর, একই এলাকার আজিজুল মিয়ার ছেলে স্বপন এবং নওগাঁ জেলার শিকারপুর গ্রামের মোতাহার প্রামাণিকের ছেলে শাহীনূর ইসলাম।
সোনারগা থানার তালতলা ফাঁড়ির ইনচার্জ আহসানউল্লাহ বলেন, মামলা দায়েরের পর ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দু,জনকে গ্রেফতার করা হয়ে। বাকী দুজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, ধর্ষনের দায়ে গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ৭ তারিখ একই এলাকায় এক গার্মেন্টকর্মীকে সিএনজি অটোরিকশা করে তুলে এনে রাতভর গণধর্ষক করে ৬ যুবক। ওই ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৫ ধর্ষক দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে রয়েছে।