নারী পাচারকারী চক্রের সদস্য জেবা গ্রেপ্তার
সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে অভিযান চালিয়ে নারী পাচারকারী চক্রের এক নারী সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) গভীর রাতে জালকুড়ি উত্তরপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এসময় পাচার করার উদ্দেশ্যে তার ভাড়া করা ফ্ল্যাট বাসায় আটক করে রাখা তিনজন যুবতী নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে । গ্রেপ্তারকৃত পাচারকারী নারীর নাম জেবা (৪৫)। তিনি ডিএমপি ঢাকা কদমতলী থানার মুরাদপুর মাদ্রসারোড এলাকার ২২৭ নং বাড়ির ফারুক হোসেনের স্ত্রী এবং সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ির মোশারফ হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া।উদ্ধারকৃত নারীরা সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর থানার টেপিরকোনা গ্রামের মৃত ছায়েদ আলির মেয়ে ময়না আক্তার (১৭), সিলেট জেলার জকিগঞ্জ থানার দক্ষিণ বিপক(মাসুমবাজার) এলাকার হামিদ আলির মেয়ে কুটিনা(১৯) ও তারই ছোট বোন জাহেদা (১৮)।
এ ঘটনায় উদ্ধারকৃত ময়না আক্তারের বড় বোন নাজমা আক্তার (৩৮) বাদী হয়ে পাচারকারী চক্রের জেবাকে প্রধান করে তিন জনের নাম সহ ৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলার অপর আসামিরা হলো, ঢাকার পুরানা পল্টনস্থ নিরুপম ইন্টারন্যাশনাল নামীয় ট্রাভেলস কোম্পানির ম্যানেজার মুরাদ(৫৪) ও সহযোগী শাহাদাত (৫৩)।
মামলার বাদী নাজমা আক্তার জানায়, মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ী থানার হাসাইল বানারি ইউনিয়নের আবদুল সাত্তারের ভাড়া বাড়ি থেকে গত ১৮ আগষ্ট বিকেলে ময়না নিখোঁজ হয়। কোথাও খোঁজে না পেয়ে টঙ্গিবাড়ী থানায় জিডি করা হয়। গত সোমবার ২৮ অক্টোবর সকালে মোবাইল ফোনে ময়না তার অবস্থান জানায়। খবর পেয়ে রাত ১০ টায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হাজির হয়ে বিষয়টি ওসি কামরুল ফারুককে জানাই। তখন তিনি তাৎক্ষনিক পুলিশ পাঠিয়ে ওই বাড়ি থেকে আমার ছোট বোন ময়নাসহ ৩ জনকে উদ্ধার করে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুক জানায়, গ্রেপ্তারকৃত জেবা নিরুপম ইন্টারন্যাশনাল নামীয় ট্রাভেলস কোম্পানির হয়ে কাজ করে। তাদের একটি সঙ্গবদ্ধ চক্র রয়েছে। চক্রটি দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসহায় গরীব দুঃখী পরিবারের যুবতী নারীদেরকে ফুসলিয়ে লোভনীয় বেতনে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে আসে। তাদেরকে জেবার ভাড়া বাসায় আটক রেখে এবং সময় সুযোগমতো বিদেশে পাচার করে দেয়। পাচারকারী জেবাকে রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অপর আসামিদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।”
