বন্দর ইস্পাহানী খেয়াঘাটে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ

বন্দর প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: বন্দর ইস্পাহানী ঘাটে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘাটটি ৫নং খেয়াঘাট হিসেবে পরিচিতি। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, মালামাল থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও রাতে জোরকরে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়াসহ আরো বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে এই ঘাটটি ইজারাদারের বিরুদ্ধে। ঘাটটির ইজারাদার আলোচিত বিএনপি ক্যাডার জাকির খানের চাচা শহীদ উল্লাহ।
স্থানীয়দের দাবি, বন্দর থানা প্রশাসনের রহস্যজনক ভূমিকার কারনে প্রতিনিয়ত লাগামহীন হয়ে পড়েছে তাদের অনৈতিক কর্মকান্ড। কোন ভাবেই যেন কমছে না তাদের অনিয়ম। যা নিয়ে সর্ব মহলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হলেও ডোন্ট কেয়ার শহিদুল্লাহ সিন্ডিকেট। যাত্রী দূর্ভোগ এমন আকার ধারন করেছে যা ভুক্তভোগী ছাড়া কেউ উপলব্ধি করা কষ্ট হবে। আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী সাংসদ শামীম ওসমানের ঘনিষ্টজন হিসেবে শহরে পরিচিত হলেও প্রকৃতভাবে বহুরূপী বললেও চলে। শহরের দেওভোগ এলাকার শহিদুল্লাহ বিএনপির আলোচিত ক্যাডার জাকির খানের চাচা ও মনোয়ার হোসেন শোখনের মামা। চারদলীয় জোট আমলে যে দাপটে ছিলেন আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে একই। চারদলীয় জোট সরকার আমলে উৎসব পরিবহন ছিল তার নিয়ন্ত্রণে। এক এগারোর পর মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে শহরের বাসস্ট্যান্ড হতে অনেক কিছু নিয়ন্ত্রণ করলেও কেউ কথা বলতে সাহস পায় না। আবার প্রশাসনও নীরব। কারন তিনি শামীম ওসমানের লোক। এক কথায় ঘাটটি যাত্রী সাধারনের কাছে অভিশাপে পরিণত হয়েছে।
অতিরিক্ত টোল আদায়, যাত্রীদের সাথে খারাপ আচারনসহ নানাবিধ অপকর্ম করে যাচ্ছে। দেখার যেন কেউ নেই। ইজারাদারসহ তার লোকদের কাছে অনেকটা অসহায় হয়ে নদী পারাপার হতে হচ্ছে। কেউ কোন প্রকার প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। কারন ইজারাদার দেওভোগ এলাকার শহিদুল্লাহ। বিএনপির ক্যাডার জাকির খানের চাচা শহিদুল্লাহ ও তার পার্টনার নাদিম মিয়ার রয়েছে একটি ক্যাডার বাহিনী। কোন যাত্রী প্রতিবাদ করলে তার উপরে নেমে আসে নির্যাতনের খড়গ। যাত্রীদের সুবিধার্থে ইস্পাহনী খেয়াঘাটের বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে স্থানীয় সাংসদ সেলিম ওসমানের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা ভুক্তভোগীদের।
সূত্রমতে, নারায়নগঞ্জ-বন্দরের একরামপুর ইস্পাহানি খেয়াঘাট নামে পরিচিত (৫ নং খেয়াঘাট)’ যাত্রী সেবার নামে চলে হয়রানি। শহরের দেওভোগ এলাকার শহিদুল্লাহ ও নাদিম মিয়া ঘাটটির ইজারাদার। ঘাট পরিচালনার জন্য বোরহান, মনির মিয়া, হায়দার, মিরু, কিছলুসহ ১০/১২ জনের একটি গ্রুপ। খেয়াঘাটে জনপ্রতি ২ টাকা ও ইঞ্জিন চালিত (ছোট) নৌকায় ২ টাকা গুনতে হয়। একজন সাধারন লোক এ ঘাটটি পারাপার হতে হলে ৮ টাকা গুনতে হয়। আর রাত ৯ টার পর থেকে শুরু হয় অন্য রকম একদৃশ্য। কোন যাত্রী ১০ কেজি ওজনের মালামাল আনতে হলেও অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়। এই ঘাটে প্রায় ১শ’ ২০টি ছোট ইঞ্জিনচালিত নৌকা রয়েছে। নৌকার মাঝিদের ইজারাদারকে দিতে হয় প্রতিদিন ১শ’ টাকা। মাঝিদের সমবায় সমিতি প্রায় ৬ মাস যাবত অদৃশ্য কারনে বন্ধ রয়েছে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক মাঝি জানান। চরম দূর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে যাত্রীদের। জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের নেতা বন্দরের একরামপুর ইস্পাহানি এলাকার কিতাব আলী গত ২১ সেপ্টেম্বর (শনিবার) দুপুরে অটোরিক্সার ২৫ কেজি ওজনের ব্যাটারি আনতে গিয়ে খেয়াঘাটে অতিরিক্ত জমা দিতে হয়েছে ৭০ টাকা। সরকারদলী নেতা ও সমাজ সেবকের যদি এমন হয় সাধারন জন্য কি হতে পারে এমনই অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। একই এলাকার মোঃ আব্দুল হাই ১শ’ টাকার কলার ছড়ি আনতে গিয়ে ঘাটে দিতে হয়েছে ২০ টাকা। এমনও শত শত অভিযোগ থাকলেও রহস্যজনক কারনে ইজারাদার রয়েছে বজাল তবিয়তে।
তবে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ইজারাদার শহীদ উল্লাহর মোবাইলে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।