শেখ রাসেল পার্ক রক্ষায় মাঠে নামবে আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী
নগর প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: নগরীর দেওভোগের শেখ রাসেল নগর পার্ক রক্ষায় মাঠে নামার ঘোষণা দিয়ে প্রয়োজনে হরতালের ডাকের দিবে বলে জানিয়েছে সামাজিক সংগঠন আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর নেতৃবৃন্দ।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে দেওভোগের শেখ রাসেল নগর পার্ক প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে এ কথা বলেন তারা।
আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর সভাপতি নুরুউদ্দিন আহম্মেদের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সভাপতি মন্ডলির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি এড. মাহবুবুর রহমান মাসুম, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন মন্টু, উপদেষ্টা শাহজাহান ভূঁইয়া জুলহাস, উপদেষ্টা ও দৈনিক ইয়াদের সম্পাদক তোফাজ্জাল হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, সাংগঠনিক সম্পাদক রমজানুল রশিদ, প্রতিষ্ঠাতা কমিটির সদস্য মো. সেলিম, বদরুল আলম প্রমুখ।
মনির উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, বর্তমানে নারায়ণগঞ্জবাসীর নিশ্বাস নেয়ার জায়গা নেই। শহরের মধ্যে বসার কোনো জায়গা না থাকায় স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা চাষাঢ়া শহীদ মিনারকে পার্কে পরিণত করেছে। আমরা মনে করি, এই পার্কটির আমাদের এবং নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রয়োজন।
এড. মাহবুবুর রহমান মাসুম বলেন, আজ যেখানে আমরা মানবববন্ধন করছি এখানে রেলওয়ের বস্তি ছিল, কি না হত এখানে! এখানে সন্ত্রাসীদের বসবাস ছিল, রাজনৈতিক মিছিলের লোক এখান থেকে যেত। এই রেলের জায়গার জন্য সিটি কর্পোরেশন ৪০ বার চিঠি দিয়েছে। এই সম্পত্তি রেলের হতে পারে না, জনগণের সম্পত্তি। এখানে একটি রেলস্টেশন ছিল যা কালের বিবর্তনে শীতলক্ষ্যার পাড়ে চলে যায়। কোনো সরকারি কোনো জায়গায় কর্তৃপক্ষ যদি উন্নয়ন কাজ না করতে পারে তাহলে তা আইনগতভাবে হস্তান্তর করতে হবে। রেলে চোরেরা বর্তমানে এই জমি দখল করে বিক্রি করে, লিজ দেয়, চাঁদা নেয়।
তোফাজ্জাল হোসেন বলেন, আমাদের ভাবতে লজ্জা লাগে একজন মন্ত্রী কীভাবে টিন ভেঙ্গে পার্কে প্রবেশ করেন এবং নিরীহ শ্রমিকদের আটক করেন। মন্ত্রীর আমলারা টাকার পিপাসু। তারা দুই নং রেল লাইন এলাকার প্রতিটি থানের দোকান থেকে চাঁদা নেন। আর সাধারণ মানুষের প্রশান্তির এই পার্কটি তৈরিতে বাধা দিচ্ছে। আমরা এটা হতে দেবো না। প্রয়োজন হলে আমি একাই তাদের প্রতিরোধ করবো।
প্রসঙ্গত, বুধবার (২৩ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জে আসেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। চাষাঢ়া ও নারায়ণগঞ্জ স্টেশন পরিদর্শন শেষে জিমখানা এলাকায় রেলওয়ের জমি পরিদর্শনে যান রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম। এ সময় রেলের জমিতে শেখ রাসেল পার্কের চলমান কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন তিনি।