মাঝপথে বঙ্গবন্ধু টানেলের কাজ
প্রতিবেদক, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: বঙ্গবন্ধু টানেলের কাজ সম্পন্ন হলে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে জোরকদমে এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেন। শনিবার চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে বাস্তবায়নাধীন সরকারের মেগা প্রকল্প বঙ্গবন্ধু টানেল পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ওয়ান সিটি অ্যান্ড টু টাউন মডেলে দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্কে সংযুক্তিসহ ৭টি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ চারলেন বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডায়নামিক নেতৃত্বের জন্য বাংলাদেশে এ প্রথম নদীর তলদেশে যান চলাচলের ব্যবস্থা হয়েছে।
তিনি বলেন, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মিত হলে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের উন্নয়ন দৃশ্যমান হবে। নদীর দুইপাড়ে গড়ে উঠবে শিল্পপ্রতিষ্ঠান। বাড়বে মানুষের কর্মসংস্থান ও জীবনযাত্রার মান।
হারুন অর রশিদ বলেন, ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর চীন সরকারের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণ প্রকল্পের চুক্তি হয়। এরপর স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় দ্রুতগতিতে কাজ চলমান রয়েছে।তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রকল্পের ৩৮.৭২ শতাংশ আর্থিক অগ্রগতি এবং ৪৮ শতাংশ বাস্তব ভৌত অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বাংলাদেশের প্রথম সড়ক সুড়ঙ্গপথ ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’। তিন দশমিক চার কিলোমিটার দীর্ঘ চার লেইনের এ টানেল হবে দুই টিউব সম্বলিত। পশ্চিম প্রান্তে ৭৪০মিটার এবং পূর্বে চার হাজার ৯৫২ মিটার অ্যাপ্রোচ রোড থাকবে। টানেলটি নির্মাণ করছে চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন্স কন্সট্রাকশন কোম্পানি (সিসিসিসি)।
টানেল বোরিং মেশিন পতেঙ্গা অংশ থেকে মাটি কেটে কেটে নদীর ১৮-৩১ মিটার গভীর দিয়ে এগিয়ে যাবে অন্য প্রান্তের দিকে। পাশাপাশি যন্ত্রের সাহায্যে কংক্রিট সেগমেন্ট যুক্ত হয়ে গড়ে তুলবেটানেলের কাঠামো। এরকম দুই হাজার সেগমেন্ট ইতোমধ্যে চীন থেকে নিয়ে আসা হয়েছে প্রকল্প এলাকায়।
টানেলের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৫৫ দশমিক ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় তা আট হাজার ৪৪৬ দশমিক ৬৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৪ হাজার ৭৯৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকার যোগান দেবে চীনের এক্সিম ব্যাংক। বাকি ৩ হাজার ৬৪৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে দেওয়া হবে। প্রকল্পবাস্তবায়ন করবে সেতু কর্তৃপক্ষ।
২০২২ সালে প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।