জেলা বিএনপিকে দাঁড়াতেই দেয়নি পুলিশ!
নগর প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: নারায়ণগঞ্জে বিএনপিকে দাঁড়াতেই দেয়নি পুলিশ। রোববার (১৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে জেলা বিএনপির ওই সমাবেশ পুলিশি বাধার মুখে পণ্ড হয়ে গেছে। শনিবারও পুলিশের বাধার কারণে সমাবেশ করতে পারেনি মহানগর বিএনপি নেতারা।
রোববার দুপুরে সমাবেশে নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকলে পুলিশ এসে বাঁধা দেয়। এমনকি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে শারিরিকভাবে লাঞ্ছিতও করে। অন্যরা বাধা দিলে পুলিশ তাদেরকেও মারধর করে। পুলিশের বাধাঁর মুখে সমাবেশ না করেই চলে যায় বিএনপি নেতারা।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদের অভিযোগ, সরকার বিরোধী দল ও মতকে দমনের জন্য পুলিশকে পেটোয়া বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করছে। না হলে একটি গণতান্ত্রিক দেশে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে কীভাবে বাধা দিতে পারে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, পূর্বনির্ধারিত এ কর্মসূচি আগে থেকেই পুলিশকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ শুধু অমানবিকই নয়, সন্ত্রাসীদের মতো আচরণ করেছে।
বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, রোববার জেলা বিএনপির পূর্বনির্ধারিত প্রতিবাদ সমাবেশের জন্য দুপুরে নগরীর চাষাড়ায় নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকলে পুলিশ এসে প্রথমে তাদের বাধা দেয়। তাতে নেতাকর্মীরা পাত্তা না দেয়ায় পুলিশ মারমুখি আচরণ শুরু করে। এক পর্যায়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদকে শার্টের কলার ধরে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে এসে কর্মসূচি না করার জন্য চাপ দেয়। এসময় পুলিশকে বাধা দেয়ায় জেলা বিএনপি নেতা এম এ আকবর ও মনিরুল ইসলাম রবিকেও হেনস্তা করে পুলিশ। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে নেতাকর্মীরা সরে পড়ে।
তবে এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা কোন সমাবেশের অনুমতি দেইনি। রাস্তাঘাট বন্ধ করে তারা কোন সমাবেশ করতে পারে না।
বিএনপি আগে থেকেই চিঠি দিয়ে সমাবেশের বিষয়টি জানিয়েছিল এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনি একটা চিঠি দিলেই ত হলো না। চিঠি দেয়া মানে ত অনুমতি পাওয়া না। তাই না।
বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা ও ভারতের সাথে নানা চুক্তির বিরোধীতা করে কেন্দ্রীয় বিএনপির ডাকা কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল বিএনপি সমাবেশ করতে মাঠে নেমে পুলিশের বাধার মুখে পড়ল। এর আগে শনিবারও মহানগর বিএনপি একইভাবে পুলিশের বাধার কারণে সমাবেশ করতে পারেনি।