কঠোর নিরাপত্তা দেওয়ায় প্রশাসনকে পূজা উদযাপন পরিষদের ধন্যবাদ
মো:ওয়ারদে রহমান, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে সর্ববৃহৎ পূজা “শারদীয় দূর্গা পূজা’র” সমাপ্তি ঘটল।
এর আগে সকল রীতিনীতি মেনে শুক্রবার (০৪ অক্টোবর) ষষ্ঠি পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ৫ দিন ব্যাপি সনাতন ধর্মেও এই পূজা। কঠোর নিরাপত্তার মাধ্যমে সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত চলে ২০৫ টি পূজা মন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন।
এ সময় পূজা উদযাপন পরিষদের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন জানায়, এবারের দূর্গোৎসবের আয়োজন আমারা খুব ভালোভাবে উপভোগ করেছি। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মূখিন হতে হয়নি। আর এজন্য সাংসদ, প্রশাসন, সাংবাদিক সহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বী সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সকালে পূজা মন্ডপগুলোতে দর্পন বিসর্জনের মাধ্যমে দশমী বিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হয়। বিকালে স্বামীর মঙ্গল কামনার্থে মায়ের চরণে সিঁদুর ছুইয়ে নেন নারীরা। ঢাকঢুল-ঊলুধ্বনি-শঙ্খনিনাদে হিন্দু রমণীদের পরম আকাক্ষিত সিঁদুর খেলায় মুখর হয়ে ওঠে মন্দিরগুলো। একদিকে বিদায়ের সূর। অন্যদিকে উৎসবের আমেজ। বছর ঘুরে আবার ধরণীতে আসবেন মা তাই এই আনন্দে বাদ্যের তালে তালে বিজয়ার উৎসবে উল্লাস করেন ভক্তরা। সন্ধ্যার আগ থেকেই বিভিন্ন পূজা মন্ডপ থেকে প্রতিমা নিয়ে বিসর্জনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যায় পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দরা। কঠোর নিরাপত্তায় বিজয়া শোভাযাত্রার মাধ্যমে প্রতিমা নিয়ে নগরীর প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড দিয়ে প্রবেশ করে নারায়ণগঞ্জ পোর্ট ৫ নং ঘাট শীতলক্ষ্যা নদীতে প্রতিমা বিসর্জন করা হয়। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন’র উদ্যোগে এ প্রতিমা বিসর্জনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন, পূজা উদযাপন পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি দীপক কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপনের সঞ্চালনায় বিসর্জন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা নাহিদা বারিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান মেহেদি, সদর থানার অফিসার ইনর্চাজ আসাদুজ্জামান, মহানগর আওয়ামীলীগ’র সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, মহানগর পূজা পরিষদের সভাপতি অরুন কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার সাহা, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সংস্কার সমিতির সভাপতি কমলেশ সাহা, সাধু নাগ মহাশয়
আশ্রমের সাধারণ সম্পাদক তারাপদ আচার্য্য, শারদঞ্জলী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিটন পাল, মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ দাস, ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিউদ্দিন প্রধান, ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস প্রমুখ।