গার্মেন্টস কর্মীকে রাতভর গণধর্ষণ

সোনারগাঁ প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: সোনারগাঁয়ে এক গার্মেন্টস কর্মীকে রাতভর গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে জামপুর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত আরও দুইজন এখনও পলাতক রয়েছে।
এদিকে ঘটনার পর ওই গার্মেন্টস কর্মীকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে ৭ জনকে আসামি করে ওই গার্মেন্ট কর্মী বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা মামলার এজহারে বাদী উল্লেখ করেন, রূপগঞ্জের রবিন গার্মেন্টসে তিনি কর্মরত। সোমবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে গার্মেন্ট ছুটি শেষে বাড়ি ফেরার জন্য গার্মেন্টের সামনে থেকে গাউছিয়া যাওয়ার জন্য একটি সিএনজিতে উঠেন। ওই সময়ে জাহাঙ্গীর নামের এক অভিযুক্ত ধর্ষক পেছনের সিটে বসা ছিল। গাউছিয়া যাওয়ার পর ওই গার্মেন্ট কর্মী সিএনজি অটোরিকশা থেকে নামতে চাইলে পেছনের সিটে বসা জাহাঙ্গীর তাকে বাঁধা দেয়। পরে সিএনজি চালককে সিএনজিটি দ্রুত গতিতে তালতলার দিকে চালিয়ে যেতে বলে। চালক ধর্ষক জাহাঙ্গীরের কথা মতো গাড়িটি চালিয়ে যায়। এ সময় ওই গার্মেন্ট কর্মীর মুখে সাদা রঙের স্কচটেপ লাগিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তালতলা এলাকায় হালিম মিয়ার ঘরে নিয়ে আটকে রাখে তাকে। ওই সময় হালিম মিয়া বাড়িতে ছিলেন না।
পরে ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের মুজিবুর রহমানের বখাটে ছেলে আবু সাইদ, রেহাজউদ্দিনের ছেলে ইমরান, নবি হোসেনের ছেলে রনি, আবু সিদ্দিকের ছেলে আবুল হোসেন, ভট্টু মিয়ার ছেলে মাসুদ, আমির হোসেনের ছেলে আরিফ ও সামসুল হকের ছেলে জাহাঙ্গীর ওই গার্মেন্ট কর্মীকে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। রাত সাড়ে তিনটার দিকে হালিম মিয়া বাড়িতে এসে এ ঘটনা দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫ ধর্ষককে গ্রেফতার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ধর্ষক আরিফ ও জাহাঙ্গীর পালিয়ে যায়। পুলিশ অসুস্থ ওই গার্মেন্ট কর্মীকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে দুপুরে এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় ওই গার্মেন্ট কর্মী বাদি হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
তালতলা ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আহসানউল্লাহ বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুজন পলাতক রয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ভিকটিম উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, গণধর্ষণের ঘটনার মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের আদালেেত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।