প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে পানি বন্টন চুক্তি অপরিহার্য

সৈয়দ ফারুক হোসেন, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে সৃষ্ট বন্যা থেকে বিহারের রাজধানী পাটনাসহ আরও ১২ জেলাকে রক্ষার জন্য ফারাক্কা বাঁধের ১১৯টি গেটের সবগুলো খুলে দিয়েছে ভারত। স্থানীয় এমপির অনুরোধে কেন্দ্রীয় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নেয় বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার সংবাদে জানানো হয়েছে। ভারতীয় নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার ফারাক্কার সব গেট খুলে দেওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের একাংশ ও বাংলাদেশে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এছাড়াও টানা বর্ষণের কারণেও পদ্মার পানি বেশী বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে রাজশাহী পয়েন্টে পদ্মায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে ১৭ দশমিক ৯৮ সেন্টিমিটারে। দুই দিনের মধ্যে বিপদসীমা ১৮ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার অতিক্রম করতে পারে। এতে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। অধিকাংশ নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। অসময়ে আকস্মিক এ বন্যায় উত্তরাঞ্চলে পদ্মা অববাহিকার কয়েকটি জেলার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। তবে সবচেয়ে বেশি শঙ্কা দেখা দিয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ রক্ষা বাঁধ নিয়ে। এরই মধ্যে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শিলাইদহ কুঠিবাড়ি রক্ষা বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি জেলায় প্রবল বন্যা দেখা দিয়েছে।

 

বাংলাদেশের পরিবেশ, প্রতিবেশ, জীববৈচিত্রের সাথে জড়িয়ে আছে নদী। নদী আর বাংলাদেশ সম্পর্ক। কিন্তু সে নদী হারিয়ে যাচ্ছে। বিস্তীর্ণ জনপদে পানির জন্য হাহাকার। বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে বহু নদী হারিয়ে যাওয়ার মূল কারণ বৃহত্তম নদী গঙ্গা ও পদ্মার উজানে প্রায় ১শ’টি বাঁধ দিয়ে ভারত পানি প্রত্যাহার করার কারণে। পদ্মায় শুকনো মৌসুমে পানি প্রবাহ প্রায় শূন্যের কোঠায়। এর বিরূপ প্রভাবে দেশের দক্ষিণে ও পশ্চিমাঞ্চলে পানি সংকট দেখা দিয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশের ৪ কোটি মানুষেরও বেশি। একে একে শুকিয়ে যেতে থাকে পদ্মা ও শাখা নদীগুলো। ফারাক্কা বাঁধের এই বিপর্যয়ের দিকটি হৃদয় দিয়ে অনুধাবন করেছিলেন এদেশের গণমানুষের নেতা মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। তিনি এই বাঁধের বিরুদ্ধে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জনমত গঠনের লক্ষ্যে বিশাল লং-মার্চে আয়োজন করেছিলেন ১৬ মে, ১৯৭৬ সালে, যা আজও ফারাক্কা লংমার্চ নামে পরিচিত। বাংলাদেশে এখনো প্রতিবছর ১৬ মে ফারাক্কা দিবস পালিত হয়ে আসছে। ফারাক্কার কারণে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ জনপদের বিপর্যয়ের ইতিহাস
রচিত হয়েছে। এ চুক্তির সফলতা শুধু কাগজ-কলমেই সীমাবদ্ধ। এর কারণ গ্যারান্টিক্লজ বা অঙ্গীকার অনুচ্ছেদ না থাকা। বাস্তবে চুক্তির ফলাফল প্রায় শূন্য।
এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো প্রচেষ্টা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে না।

 

বাংলাদেশের অবস্থান ভাটি অঞ্চলে হওয়ায় উজানে যেকোনো ধরনের পানি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার প্রত্যক্ষ নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। গঙ্গা নদীতে ভারতের ফারাক্কা বাঁধের কারণে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে বাংলাদেশ। মানবসৃষ্ট এই দুর্বিপাকে বাংলাদেশের কৃষি, মৎস্য, বনজ, শিল্প, নৌপরিবহন, পানি সরবরাহ ইত্যাদি ক্ষেত্রে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। শুকনো মৌসুমে নদীর পানি কমে যাওয়ায় পানির স্তর অনেক নিচে নেমে যায়। ফলে টিউবওয়েলে পানি পাওয়া যায় না। মানুষের পানীয় জল ও গৃহস্থালি কাজে পানির মারাত্মক সঙ্কট দেখা দেয়। আর এ অবস্থায় দেশ মরকরণের দিকে ধাবিত হচ্ছে। গঙ্গার এই বাঁধের কারণে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পরিবেশগত বিপর্যয় আরো ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।

 

লবণাক্ততা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের সুন্দরবন, যা বিশ্ব হেরিটেজ নামে পরিচিত তা ধ্বংসের মুখে। পদ্মার একটি বড় শাখা নদী গড়াই কার্যত শুকিয়ে যায় । শুষ্ক মৌসুমে গঙ্গার পানি অপসারণের ফলে  বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এতে বাংলাদেশকে কৃষি, মৎস্য, বনজ, শিল্প, নৌ পরিবহন, পানি সরবরাহ ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যাপক লোকসানের সম্মুখীন হতে হয়।

 

প্রত্যক্ষ ভাবে বাংলাদেশের প্রায় ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়; যদি পরোক্ষ হিসাব করা হয়, তাহলে ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হবে। পদ্মা নদী দিয়ে পলিপ্রবাহ প্রায় ২০% কমে গেছে (১৯৬০ সালের তুলনায়)। কার্বন প্রবাহ কমেছে ৩০%। পলিপ্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে জমির উর্বর শক্তি কমে যাচ্ছে। মিনারেল এবং নিউটিয়েন্ট কমে যাওয়ার ফলে নদী ও জলাভূমিতে ফাইটোপ্লাটন উৎপাদন কমেছে ৩০%। ফাইটোপ্লাটন হচ্ছে খাদ্য চক্রের প্রথম ধাপ। এ থেকে ক্রমান্বয়ে মাছ ও অন্যান্য জলজ জীবের উৎপাদন ঘটে। পদ্মা-ব্রক্ষ্মপুত্রের সঙ্গমস্থল আরিচাঘাটে সমীক্ষা থেকে যে ফিশ ক্যালেন্ডার তৈরী করা হয়েছে তাতে দেখা যায় ৩৫ বছর আগের তুলনায় বর্তমান মৎস্য উৎপাদন মাত্র ২৫%। ইলিশ মাছ এখানে পাওয়া যায় না বললেই চলে। ইলিশ মাছ স্যাড গোত্রীয় মাছ। ০-৪২০ বিষ্ণুরেখার যেখানেই সমূদ্র সংলগ্ন নদী রয়েছে সেখানেই এই মাছ পাওয়া যায়। বৎসরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে এই মাছ নোনা পানি থেকে মিঠা পানিতে আসে ডিম পাড়ার জন্য। উজানে এদের আগমন বাঁধ কিম্বা ঐ ধরনের বাধার পরিপ্রেক্ষিতে অত্যন্ত সংবেদনশীল। ফারাক্কার আগে এক সময় রাজশাহী পদ্মা অবধি ইলিশ মাছ পাওয়া যেত। এখন আরিচাতেই এ মাছ পাওয়া যায় না। ফারাক্কা বিদ্যমান থাকলে আশংকা করা হয় পদ্মা এবং তার কমান্ড অঞ্চলে ইলিশ মাছ আদৌ পাওয়া যাবে না।

 

জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে সমুদ্রের পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি বাংলাদেশের বিরদ্ধে দুধারী তলোয়ারের মত কাজ করছে। একদিকে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে উপকূল অঞ্চল তলিয়ে যাওয়া আর তার সাথে যোগ হয়েছে বাংলাদেশের সমতল ভূমির ক্রমান্বয়ে দেবে যাওয়া যাকে বলা হয় সাবসিডেন্স। এর হার বছরে ৫ মি.মি.। নদীর প্লাবনের কারণে সঞ্চিত পলি সাবসিডেনসের নেতিবাচক প্রভাবকে এতকাল পুষিয়ে নিয়ে আসছিল। ফারাক্কার কারণে এমনটি আর হতে পারছে না ।

 

পদ্মার পানি প্রবাহ মারাত্মকভাবে কমে যাওয়ায় বাংলাদেশের উত্তর অববাহিকায় বিশেষ করে রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জ ভূগর্ভস্থ পানির প্রথম স্তর ৮-১০ ফুট জায়গা বিশেষে ১৫ ফুট নীচে নেমে গেছে। । মওসুমী বৃষ্টি ও এই স্তরে রিচার্য করে কুলিয়ে উঠতে পারছে না। সেচের জন্য খরার মওসুমে এখন ভরসা দ্বিতীয় স্তর (৩০০ ফুট)। বরেন্দ্র অঞ্চলে এই স্তরটা মোটামুটি ফসিল পানি দিয়ে পূর্ণ। ব্যাপক সেচের ফলে এই স্তর থেকে কতদিন পানি উত্তোলন করা যাবে কে জানে। পানির অভাবে মাটির আদ্রতা শুষ্ক মওসুমে ৩৫% কমে গেছে। পানি প্রবাহের এমন করুণ অবস্থা থেকে সৃষ্ট হয় মরুকরণ প্রক্রিয়া। নদীর পানি থেকে জলীয় বাষ্প সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের বায়ুর আদ্রতা সৃষ্টিতে নিয়ামক ভূমিকা পালন করে। খরার সময় পদ্মা নিজেই যখন বিশুষ্ক মরভূমিতে পরিণত হয় সে তখন স্থলভূমির বায়ুতে আদ্রতার যোগান কিভাবে দিবে। আদ্রতার অভাবে দিনের নিম্নতম এবং উচ্চতম তাপমাত্রার তারতম্য বৃদ্ধি পায়। ৬০ দশকে এই তারতম্য যেখানে ৫-৮ সে. ছিল এখন সেটা বৃদ্ধি পেয়ে ৮- ১২ সে. এ দাঁড়িয়েছে। এই দৃষ্টিকোণ থেকে মরকরণ প্রক্রিয়ার বাহ্যিক রূপ এই অঞ্চলের জনগণ ইতিমধ্যে প্রত্যক্ষ করছেন। মরকরণের অনেক বড় মার্কার রয়েছে, এইগুলো হতে পারে পানি নির্ভর উদ্ভিদ এবং আরো সুক্ষ স্তরে অণুজীব।

 

আশা করা যায় দেশের নতুন প্রজন্মের পরিবেশ বিজ্ঞানীরা জাতীয় স্বার্থে এ ব্যাপারে গবেষণায় ব্রত হবেন। ফারাক্কা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গঙা নদীর (পদ্মা) প্রবাহে চরম বিপর্যয় ঘটে। প্রবাহ কমে যাওয়ায় নদীর নাব্যতা কমে যায়। ফলে বর্তমানে প্রায়ই বড় বন্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বাংলাদেশের গড়াই নদী এখন সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত। ফারাক্কা বাঁধের ফলে বাংলাদেশের খুলনা অঞ্চলের মাটির লবনাক্ততা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিজ্ঞানীরা খুলনার রপসা নদীর পানিতে ৫৬৩.৭৫ মিলিগ্রাম/লিটার ক্লোরাইড আয়নের উপস্থিতি পেয়েছেন। তাছাড়া, মিঠা পানির সরবরাহ কমে যাওয়ায় শুষ্ক মৌসুমে লবন, ভূ-অভ্যন্তরস্থ পানিতে প্রবেশ করছে।

 

কৃষির অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। পানির স্তর অনেক নেমে যাওয়ার দক্ষিণ অঞ্চলের জি-কে সেচ প্রকল্প মারাত্বক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সেচযন্ত্র গুলো হয়ত বন্ধ হয়ে আছে অথবা সেগুলোর উপর তার ক্ষমতার চাইতে বেশি চাপ পড়েছে। এই প্রকল্পের অন্তর্গত প্রায় ১২১,৪১০ হেক্টর জমি রয়েছে। মাটির আর্দ্রতা, লবনাক্ততা, মিঠা পানির অপ্রাপ্যতা কৃষির মারাত্বক ক্ষতি করেছে। পানি অপসারণের ফলে পদ্মা ও এর শাখা-প্রশাখাগুলোর প্রবাহের ধরণ, পানি প্রবাহের
বেগ, মোট দ্রবীভূত পদার্থ এবং লবণাক্ততার পরিবর্তন ঘটেছে। এই বিষয় গুলো মাছের জন্য খুবই গুরত্বপূর্ণ। গঙ্গার পানির উপর এই এলাকার প্রায় দুই শতেরও বেশি মাছের প্রজাতি ও ১৮ প্রজাতির চিংড়ী নির্ভর করে। ফারাক্কা বাঁধের জন্য মাছের সরবরাহ কমে যায় এবং কয়েক হাজার জেলে বেকার হয়ে পড়েন। শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশের ৩২০ কিলোমিটারের বেশি নৌপথ নৌ-চলাচলের অযোগ্য হয় পড়ে। ফলশ্রুতিতে, কয়েক হাজার লোক বেকার হয়ে পড়ে, নৌ- পরিবহনের খরচ বেড়ে যায়। ভূ-অভ্যন্তরের পানির স্তর বেশিরভাগ জায়গায়ই ৩ মিটারের বেশি কমে গেছে। তাছাড়া বিভিন্ন দ্রবিভুত পদার্থের , ক্লোরাইড, সালফেট ইত্যাদির ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ার কারণেও পানির স্তর কমছে। এর প্রভাব পড়ছে কৃষি, শিল্প, পানি সরবরাহ ইত্যাদির উপর। মানুষের বাধ্য হয়ে ১২০০ মিলিগ্রাম/লিটার দ্রবিভুত পদার্থ সম্পন্ন পানি পান করছে। যেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৫০০ মিলিগ্রাম/লিটারের কম দ্রবীভূত পদার্থ সম্পন্ন পানিকেই মানুষের পান করার জন্য উপযুক্ত বলে ঘোষণা করেছে।

 

বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ এবং এ দেশের পররাষ্ট্রনীতি হচ্ছে ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রুতা নয়’। আর এ মূলনীতির আলোকে সব দেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন ও সহাবস্থান বজায় রাখতে বাংলাদেশ যথেষ্ট আন্তরিক। ভারত বাংলাদেশের একটি বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত ।বাংলাদেশের সাথে ভারত আন্তরিক সুপ্রতিবেশী ও বন্ধুসুলভ মনোভাব রয়েছে। তা সত্বেও বাংলাদেশের মতো একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের ওপর আন্তর্জাতিক সব আইনকানুন, নিয়মনীতিকে অগ্রাহ্য করে পানিসম্পদ উজান থেকে একতরফাভাবে প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। ফারাক্কাসহ আরো অন্যান্য নদীর উজানে বাঁধ দিয়ে ইচ্ছেমতো পানিপ্রবাহকে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের উঁচু ও মরু অঞ্চলে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ ভাটি অঞ্চল, এখানকার মানুষের জীবন-জীবিকাসহ সব কিছুই নির্ভরশীল নদী ও তার পানির ওপর। ফারাক্কা বাঁধ দেয়ার আগে শুষ্ক মওসুমে পানির প্রবাহ ছিল ৬০ থেকে ৮০ হাজার কিউসেক। ফারাক্কায় ওদের ডাইভারশন ক্যানেল, ব্যারাজের মাধ্যমে তারা ৪০ হাজার কিউসেক পানি সরিয়ে নিতে পারে। সেটি সরিয়ে নেয়ার পরে যেটি থাকে সেটি পায় বাংলাদেশ। গঙ্গা চুক্তিতে অন্তত ২৭ হাজার কিউসেক পানি পাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। ভারত শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে প্রাপ্য পানি প্রদান করলে বাংলাদেশের নদ-নদীগুলো শুকিয়ে যেত না।

 

বাংলাদেশ ও ভারতের সাথে দীর্ঘ দিন অমীমাংসিত পানি বন্টন ইস্যুটি আলোর মুখ দেখেনি। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের ফলে বাংলাদেশের মানুষ এই পানি বন্টন চুক্তির একটি চুড়ান্ত ফলাফল আশা করছে।

 

সৈয়দ ফারুক হোসেন
ডেপুটি রেজিস্ট্রার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

 

 

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com