আগুন নিয়ে খেলবেন না, পারবেন না: শামীম ওসমান

প্রতিবেদক, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, আগুন নিয়ে খেলবেন না, পারবেন না। আওয়ামী লীগ একটি আগুন, নারায়ণগঞ্জ একটি আগুন। প্রশাসনের মধ্যে শুদ্ধি অভিযান চালান। সেনাবাহিনী পারেনি, র্যাব-বিজিবি পারেনি। আর পুলিশতো আমাদেরই।
তিনি বলেন, প্রশাসনের কিছু অতি উৎসাহী আছে। হয়তো জামায়াত-শিবিরের হবে। হয়তো বা তাদের বাপ-দাদারা জামায়াত শিবিরে ছিল।
শামীম ওসমান বলেন, অনেকের আজকের এই সমাবেশ নিয়ে অনেক প্রশ্ন ছিল। তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, যদি জননেত্রী শেখ হাসিনা অপশক্তির বিরুদ্ধে ডাক দেয় তখন আমরা ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রস্তুত আছি, এটা জানান দিতেই সভা। এই সভা লোকাল কোন ইস্যুতে না।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে ‘রুখে দাঁড়াও স্বাধীনতা ও দেশ বিরোধী সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে’- এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
নগরীর মিশনপাড়ায় নবাব সলিমউল্লাহ সড়কে ট্রাকের উপর ওই অস্থায়ী সভামঞ্চ তৈরি করা হয়।
এসময় সভাস্থলে উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, সহ সভাপতি চন্দন শীল, এড. ওয়াজেদ আলী খোকন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী, সোনারগাঁ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল ভূইয়া, জেলা মহিলা লীগের সভাপতি প্রফেসর শিরিন বেগম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভুইয়া সাজনু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহসিন মিয়া প্রমুখ
তিনি আরও বলেন, ১৭দিন সেনাবাহিনী আমাকে ঘিরে রাখলেও গ্রেফতার করতে পারেনি। র্যাব-পুলিশ-বিজিবির পাঁচ হাজার সদস্য আমার বাড়ি ঘিরে রেখেছিল। কিন্তু আমার লাখ লাখ নেতাকর্মী আমাকে পাহাড়া দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘জাতির পিতার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে বার বার নারায়ণগঞ্জের নাম উল্লেখ আছে । নারায়ণগঞ্জের বায়তুল আমানে আওয়ামীলীগের জন্ম হয়েছে, স্বাধীনতার সনদ লেখা হয়েছে।’
তিনি বলে, ১৯৭৯ সাল নেত্রী তখনো দেশে ফিরে নাই । বঙ্গবন্ধু হত্যার নীল নকশাকারী জিয়াউর রহমান নারায়ণগঞ্জে আসবেন খবর আসলো । আমরা চাষাঢ়াতে অবস্থান নিলাম । জিয়াউর রহমানের গাড়ি আটকে দিলাম । স্লোগান দিলাম খুনি জিয়া খুনি জিয়া। তখন বিএনপির জন্ম হয়নি । জাগো দলের হুমরা চোমরারা আমাদের উপর এ্যাটাক করলো। ৭জন ছেলে ছিলাম । কিন্তু কেউ দৌড় দিলাম না। আমরা সেই খেলোয়াড় । বাবা মায়ের পর যদি কাউকে মানি কারো জন্য জীবন দিতে পারি তাহলে তিনি হলেন প্রধানমন্ত্রী স্বপ্নের মা রাজনৈতিক মা মনে করি ।
আমরা যখন চিৎকার করলাম তখন কেউ চিৎকার করে নাই । এ মিশনপাড়া এলাকাতেই একটি বাড়িতে জামায়েতের কার্যালয় ছিল । এ বাড়ি থেকেই আমার ছোট বোনকে টাকা দেওয়া হয় । এ বাড়িতেই গোলাম আজমরা এসে থাকতো । আমরাই প্রথম নারায়ণগঞ্জে গোলাম আজমকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলাম । সাইনবোর্ড এলাকাতে সাইনবোর্ড সাটিয়ে দেওয়া হলো নারায়ণগঞ্জে গোলাম আজম কুকুরদের প্রবেশ নিষিদ্ধ । সজলিশের সূরার কমিটিতে আমাদের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া হলো । আমরা শুরু করেছিলাম সেট সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে ।মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদীতেও প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হলো। আমাকে শেখ হাসিনা ডেকে বলেছিল তোমাকে হত্যা করা হবে । বলেছিলাম সামনা সামনি যুদ্ধ হবে। আপনারা ১ হাজার এমপি আমরা দুইজনই যথেষ্ট। ১৬ জুন চাষাঢ়ায় আওয়ামীলীগ অফিসে বোমা হামলা করা হলো। মারা হলো একে একে সবাইকে। তখন রক্তের উপর শোয়া ছিলাম। দেখেছি অনুভব করেছি রক্ত কত গরম ।