জোটের কর্মকান্ড আরও তরান্বিত করাই নতুন কমিটির লক্ষ্য: শাহীন
সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহীন মাহমুদ বলেছেন, ‘নারায়ণগঞ্জের সাংস্কৃতিক জোটভূক্ত সংগঠনগুলো বিগত প্রায় ৩৯ বছর ধরে দক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের অধিকার নিয়ে শিল্প ও সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে কাজ করে এসছে। যাদের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মূল কেন্দ্রবিন্দুই ছিল মানুষ। সেই কাজগুলোকেই আরোও তরান্বিত করাই মূলত আমাদের লক্ষ্য হবে। সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে পুরাতন এবং কিছু নতুন চিন্তা ও পরিকল্পনা আছে।’
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমকে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, মানুষের পৃথিবীতে বর্তমানে শোষকরা দেশে দেশে ভয়ের রাজ্য কায়েম করে শোষন ব্যবস্থা জারি রেখেছে। অন্যদিকে মানুষ তার নিজস্ব জীবন ধারনের জন্য নিজস্ব সংস্কৃতি থেকে বিচ্যুত হচ্ছে। এ জায়গাটাতে আসলে সংস্কৃতিকর্মীদের তাদের শিল্পকে সচেতনভাবে ব্যবহার করতে হবে। তাদের প্রতিটি শিল্প যেনো শোষকেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে প্রস্তুত হয়ে ওঠে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে বলে আমি মনে করি।
এদিকে সাংস্কৃতিক জোটের নবগঠিত কমিটিতে তাকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করায় সাংস্কৃতিক জোটের সকল নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি। সকলের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা নিবেদন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া তার পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-‘ভাষ্কর্যকটি পাথরের মধ্যে আগে থেকেই থাকে, শুধু রুপান্তরের নিয়ম জানা চাই। তেমনি পৃথিবীতে এক একটা মানুষ এক একটা স্বপ্নের নাম, এক একটা সম্ভাবনার নাম, তখনি যখন মানুষ নিয়ম জানতে পারে মানুষ হবার।বনে-জঙ্গলে মানুষ জন্মগ্রহণ করলে তার বেড়ে উঠা ও আকাক্সক্ষা, কিংবা স্বপ্নের ধরণ ভিন্ন হয়। প্রকৃতির মাঝে জীবন আর ইট-সিমেন্ট-পাথরে গড়া শহুরে বাস্তবতা ফারাক ভিন্ন গ্রহেরই মতণ। তবুও পৃথিবীতে জন্ম নেয়া প্রতিটি মানুষ তার চারপাশকে কেন্দ্র করে এক একজন নায়ক।
এক একটা চোখ, এক একটা মস্তিষ্ক প্রসূত চিন্তা আমাদেরকে যেমন এগিয়ে দিয়েছে, আবার পেছানোর গল্পও আছে। এই আগানো এবং পেছানোর মূল কেন্দ্রে মানুষের অবস্থান এবং তাকে ঘিরে প্রাণ-প্রকৃতি অথবা অন্যভাবে বললে প্রাণ-প্রকৃতি ঘিরে মানুষের বেঁচে থাকার ইতিহাস বয়ে চলেছে সম্ভাবনা এবং ধ্বংসের কলংক মাথায় নিয়ে।
আগানো-পেছানোর এ গল্পে একদিন নিশ্চয়ই মানুষের জয় হবে, সে মানুষ যে মানুষ হবার নিয়মকে আয়ত্ত আর আতস্থের মাধ্যমে জীবনাচার এগিয়ে নিয়েছে মানুষকে ভালবেসে নিজের গড়া জীবনের নিয়মে।
সেই সমস্ত মানুষদের স্যালূট জানাই আজকে ছোট্ট একটা সুযোগ হাতে পাওয়াতে। আমি অত্যন্ত ক্ষুদ্র মানুষ। কিন্তু স্বপ্ন আর বাস্তবের ফারাক ঘোচানোর শক্তিটা পাই সামষ্টিক সেই মানুষদের কাছ থেকে। যেই মানুষদের চিন্তার বৈচিত্র রুপ পেয়েছে ভিন্ন চিন্তাকে সন্মান করে তাকে সমন্বিত করবার প্রচেষ্টায় এ ধরণীকে নিরাপদ বাসযোগ্য করার ইচ্ছে ও আকাক্সক্ষায় পরিপূর্ণতা।
তাঁদের প্রতি জানাই শ্রদ্ধা-ভালবাসা।’