মিয়ানমারে পাঠিয়ে দিবে এই ভয়ে ঘর ছেড়ে পালিয়ে যান বহু রোহিঙ্গা
প্রতিবেদক, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য দ্বিতীয় প্রচেষ্টাও আপাত ব্যর্থ হবার পর অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, আদৌ তারা মিয়ানমারে ফেরত যেতে রাজি হবে কিনা ।
দ্বিতীয় দফার প্রত্যাবাসন চেষ্টা যে ব্যর্থ হবে সেটি আগে থেকেই অনুমান করা যাচ্ছিল।কারণ, গত তিন দিন ধরে যেসব রোহিঙ্গা পরিবারের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল, তারা সবাই একবাক্যে বলেছেন যে তারা এখন মিয়ানমারে ফিরবেন না।
গতকাল অর্থাৎ বুধবার পর্যন্ত যেসব রোহিঙ্গা পরিবারের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে, তাদের অনেকই আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে ঘরে তালা দিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন।
বুধবার দুপুরে টেকনাফের নয়াপড়ায় ১৬ নম্বর ক্যাম্পে গিয়ে দেখা যায়, গত দুইদিনে যারা সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তাদের কেউই ঘরে নেই। তাদের আশংকা ছিল জোর করে হয়তো মিয়ানমারে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
দুপুরের দিকে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন বিষয়ক কমিশনার আবুল কালাম সংবাদ সম্মেলন করার কিছু পরে ঘর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গারা আবারো ফিরতে শুরু করেন।
এদের একজন নূর বানু। তিনি আমাকে জানালেন, গত কয়েকদিন ধরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশপাশে নিরাপত্তা বাহিনীর আয়োজন দেখে তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন।
নূর বানুর আতঙ্কিত হবার যথেষ্ট কারণও আছে। গত কয়েকদিন ধরে শরণার্থী ক্যাম্পে রোহিঙ্গারা বলাবলি করছিল, প্রত্যাবাসনের বিষয়ে যারা সাক্ষাৎকার দিয়েছে তাদের জোর করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে।
শরণার্থী ক্যাম্পে ঘুরে যে বিষয়টি পরিষ্কার বোঝা গেল সেটি হচ্ছে এখনই মিয়ানমারে না ফিরতে রোহিঙ্গারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
প্রত্যাবাসন যাতে শুরু না হয় সেজন্য রোহিঙ্গাদের মধ্যে নেতৃস্থানীয় অনেকে বেশ তৎপর।
এদের মধ্যে অনেকেই ক্যাম্পগুলোতে ঘুরে-ঘুরে রোহিঙ্গাদের বুঝিয়েছেন যে কোনভাবেই মিয়ানমারে ফেরত যাওয়া যাবে না। ফলে ক্যাম্পের সব রোহিঙ্গার বক্তব্য প্রায় একই রকম।
রোহিঙ্গারা বলেছেন, মিয়ানমারে তাদের নিরাপত্তা এবং নাগরিকত্ব নিশ্চিত হলেই তারা ফেরত যাবেন।