বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে ঘাতকচক্র: সাইফ উল্লাহ্ বাদল

 

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাশিপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম. সাইফউল্লাহ্ বাদল বলেছেন, ১৫ই আগষ্ট যারা ঘটিয়েছিলো, তারা মনে করেছিলো জাতির পিতাকে ও তারপরিবারকে হত্যা করলে এ দেশে আর কখনো আওয়ামী লীগ মাথাঁচারা দিয়ে ওঠতে পারবেনা।

 

২০ আগষ্ট (মঙ্গলবার) বিকালে ফতুল্লা থানাধীন তক্কারমাঠ এলাকায় জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ফতুল্লা থানা তাঁতী লীগের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সাইফউল্লাহ বাদল আরও বলেন, জাতির পিতা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য, সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য। কিন্তু ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার আদর্শ নস্যাৎ করার জন্য তাকে স্বপরিবারে হত্যা করে ঘাতকচক্র। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে আবার জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কাজ শুরু করেছিলো। কিন্তু ২০০১ সালে আবারও শুরু হয় ষড়যন্ত্র। সেই ষড়যন্ত্রে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানো হয়।

 

তিনি আরো বলেন, শুধু তাই নয়, এই আগষ্ট মাসের ২১ তারিখে অর্থ্যাৎ ২১ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড ছুড়ে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়। তবে ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে গেলেও এই বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা প্রাণ ঝড়ে ২৪ জনের। এভাবে শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যা করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে প্রতি বারই তিনি প্রাণে বেঁচে যান। এরপর ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ যখন আবারও ক্ষমতায় এলো, দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্নতা অর্জনসহ বিশ্বের দরবারে এক রোড মডেলে পরিনত হলো। আর এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য। তাই, আজকের এ দিনে আপনাদের কাছে এ মানুষটার জন্য দোয়া চাই, আপনারা দোয়া করবেন আল্লাহ্ যেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারকে দীর্ঘায়ু ও সুস্থ্যতা দান করেন।

 

এছাড়াও সাইফউল্লাহ বাদল বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা তাঁতী লীগকে সুসংগঠিত করার জন্য সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ভিপি আলমগীরের নেতৃত্বে জেলার সকল থানা ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড শক্তিশালী হবে আমি মনেকরি। আজকের এ সুন্দর অনুষ্ঠানটি করার জন্য আমি তাঁতী লীগের সমস্ত নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানাই।

 

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে জেলা তাঁতী লীগের সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন (ভিপি আলমগীর) বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অনেক আগেই এ দেশ উন্নত হয়ে যেত, বঙ্গবন্ধু
সমাজকে পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন। তাঁরই দেখানো পথে দেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে রূপান্তরিত করছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। আর এই উন্নয়নের
গতিকে তরান্বিত করতে তিনি তারুণ্যকে প্রাধান্য দিচ্ছেন, কেননা তরুণরাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। তরুণরাই পারবে একটা জাতি, একটা সমাজকে পরিবর্তন করতে। আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে হৃদয়ে লালন করি তারা ১৫ আগস্টের এই শোককে শক্তিতে পরিনত করে এবং নারায়ণগঞ্জে তথা সারা বাংলাদেশে তাঁতী লীগকে সুসংগঠিত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়বো, এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।’

 

আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। পরে উপস্থিত সকলের মাঝে নেওয়াজ বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দরা।

 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়র পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, মহানগর তাঁতী লীগের সভাপতি চৌধূরী এইচ এম সাহেদ ফারুক, যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুল কাদের জীবন, জেলা তাঁতী লীগের সদস্য সাইফুল আলম বিপ্লব। ফতুল্লা থানা তাঁতী লীগের আহ্বায়ক মিলন মোল্লার সভাপতিত্বে ও আব্দুল কাইয়ূম শাহীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, আক্তার হোসেন, সাইদুল ইসলাম, মাসুদ ভূইঁয়া, সারোয়ার হোসেন, সালমা বেগম, নূরুল হক, জব্বার মোল্লা, দেলোয়ার হাওলাদার, আতিকুর রহমান, গোলাম রাব্বি প্রমূখ।

 

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com