গাড়িতে বসে জনরোষ এড়ালেন মান্নান!

 

প্রতিবেদক, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: নিজের এলাকায় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে পরিস্থিতি প্রতিকূল পরিবেশ দেখে গাড়ি থেকেই নামলেন না ছাত্রলীগ নেতা এম এ মান্নান। অনুষ্ঠানে আগত এক অতিথির গাড়িতে বসে জনরোষ এড়ালেন এই চতুর ছাত্রলীগ নেতা। পুরো অনুষ্ঠানটির সময় সে গাড়িতে বসে ছিলেন।

 

বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে ফতুল্লার মুসলিমনগরে শোক দিবসের ওই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফ উল্লাহ বাদল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী, সিনিয়র সহসভাপতি এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউজ্জামান বদু। সভায় সভাপতিত্ব করেন-মুসলিমনগর পঞ্চায়েত প্রধান ফজলুল হক সরকার।

 

অনুষ্ঠানটি ছিল শোকের। জাতীয় শোক দিবস ও ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে। কিন্তু সভাটি পরিণত হয় বিষোদগার সভায়। ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ মান্নানের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের উত্থাপিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনুষ্ঠানের বক্তারা এক হাত নেন তাকে।

 

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দিতে শওকত মাইক হাতে নেয়া মাত্র সভায় উপস্থিত সমবেতরা স্বমস্বরে ‘মান্নানকে চাই না’, ‘মান্নানকে চাই না’ স্লোগান দিতে থাকলে। তিনি বিব্রত হয়ে পড়েন। কিন্তু সবাইকে শান্ত করে বলেন-‘আপনাদের বাদ দিয়ে আমরা নেতা হতে পারব না। আপনারা আমাদের উপর আস্থা রাখুন। যদি ছাত্রলীগ নেতা মান্নান মুরুব্বীদের সাথে বেয়াদবী করে তবে অবশ্যই মান্নানকে মুরুব্বীদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। আমরা জানি, এই এলাকায় চাঁদাবাজি হয়, সন্ত্রাসীও মাদক ব্যবসাও হয়। যদি এসব কাজের আমাদের দলের লোকও জড়িত থাকে তবে তাদের ছাড় নয়।

 

শওকত আলীর এমন বক্তব্যের পরেও সমবেতরা মান্নানকে বহিস্কারের দাবি তুলেন।

 

এর প্রেক্ষিতে শওকত আলী বলেন, দলের কোন কর্মীকে বহিস্কারের বিষয়টি দলীয় বিষয়। অবশ্যই কেউ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে অবশ্যই দল ব্যবস্থা নিবে।

 

এদিকে স্থানীয় পঞ্চায়েত কমিটির দাবি, এলাকায় নতুন ভবন করলে মান্নানকে চাঁদা দিতে হয়। জমি-জমা বিক্রি হলে তাকে চাঁদা দিতে হয়। এমনকি এলাকার দোকান-পাট থেকেও চাঁদা তোলেন মান্নান। পঞ্চায়েত কমিটি এসব কাজের প্রতিবাদ করলে মান্নান কয়েকজন প্রবীণ ব্যক্তিকে লাঞ্ছিত করেন। দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চায়েত কমিটির এই ক্ষোভ আজ বাস্তবে রূপ নিলো।

 

 

অন্যদিকে এসব বিষয়কে নিজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন এম এ মান্নান। তিনি বলেন, আমি বলির পাঠা। কবরস্থান ও ঈদগা কমিটি নিয়ে দুই পক্ষ বিরোধে জড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু অনাকাঙ্খিতভাবে এ ঘটনায় আমাকে জড়ানো হচ্ছে।

 

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com