বহিস্কৃত সন্ত্রাসীর পদ ব্যবহার করে ব্যানার-ফেষ্টুন!
ফতুল্লা প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪ডটকম : সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য দল থেকে বহিস্কৃত হলেও যুবলীগের পদ ব্যবহার করে ফতুল্লার কাশীপুরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যানার-ফেষ্টুনে ছেঁয়ে ফেলেছেন সন্ত্রাসী শাহীন আলম। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে তার এসব ব্যানার দলীয় নেতাকর্মীদের বিব্রত করলেও শীর্ষ নেতাদের অনেকেই চুপ রয়েছেন। সাধারণ নেতাকর্মীদের দাবি, দল থেকে বহিস্কার করা হলেও এমন একজন সন্ত্রাসী দলের নাম ব্যবহার করে কীভাবে ব্যানার- ফেষ্টুন করে। এটা দলের গঠনতন্ত্র ও শীর্ষ নেতাদের অনেকটা বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন। দলের সিনিয়র নেতাদের উচিত সন্ত্রাসী শাহীন আলমের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া।
শাহীন আলম কাশীপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য গত ১৬ জুন তাকে দল থেকে বহিস্কার করে ইউনিয়ন যুবলীগ। কাশীপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনিসুর রহমান শ্যামল, সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ ও যুগ্ম-সম্পাদক এমদাদুল হক খোকা স্বাক্ষরিত ওই বহিস্কারের ঘোষণা গণমাধ্যমেও পাঠানো হয়।
কিন্তু সন্ত্রাসী শাহীন আলম নিজেকে ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি দাবি করে এলাকায় ব্যানার-ফেষ্টুন ও তোড়ন নির্মাণ করে জাতীয় শোক দিবস পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নারায়ণগঞ্জের বেশ কয়েকটি স্থানীয় দৈনিকেও পদপদবী ও দলের সিনিয়র নেতাদের ছবি ব্যবহার করে শোক দিবসের বিজ্ঞাপন দিয়েছেন শাহীন।
বিষয়টি সর্ম্পকে এলাকার কয়েকজন প্রবীণ নেতা বলেন, এই শাহীনরা দলকে ব্যবহার করে রাতারাতি ধন-সম্পদের মালিক বনে যান। পদপদবী ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্থ করেন। কিন্তু দু:সময়ে এদের খুঁজেও পাওয়া যায় না। এরা দলকে ক্ষতিগ্রস্থ করেও নিজের আখের গুছাতে দলকে রাস্তায় রাস্তায় বেচা দেয়।
এ বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলী বলেন, এটা কীভাবে সম্ভব! যদিও তাকে কাশীপুর ইউনিয়ন যুবলীগ বহিস্কার করেছে, তা দেখার দায়িত্ব তাদের। তবে বহিস্কৃত ও সন্ত্রাসীদের দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন কাজ করতে দেয়া যাবে না। এ বিষয়ে আমি ইউনিয়ন যুবলীগের নেতাদের সাথে কথা বলব।
অন্যদিকে কাশীপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য শামীম আহমেদ বলেন, বহিস্কৃত কেউ দলের পদ ব্যবহার করতে পারবে না। কিন্তু শাহীনের বিষয়টি আমার জানা নেই। সে যদি এমন ব্যানার-ফেষ্টুন ব্যবহার করে তবে তা দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করা হয়েছে। অবশ্যই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য শাহীন আলমের মোবাইলে বেশ কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।