কুড়িগ্রামের ভোগডাঙ্গার প্রতিবন্ধী রফিকুলের জন্য মানবিক আবেদন
এজি লাভলু, প্রেসবাংলা২৪.কম(কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি): ১৯৮৮ সাল থেকে খোলা আকাশের নিচে একই স্থানে বসে ভিক্ষা করে আসছেন শারীরিক প্রতিবন্ধী রফিকুল ইসলাম (৫০)। রফিকুল কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের ফারাজী পাড়া গ্রামের মৃত কাশেম আলীর পুত্র।
কুড়িগ্রাম-নাগেশ্বরী সড়কের চন্ডীপুর বাজার সংলগ্ন ফকিরের তকেয়া নামক স্থানে রাস্তার পাশে প্রতিবন্ধী রফিকুলের ভিক্ষা বৃত্তির চিত্র দেখা যায়।
জানা যায়, প্রতিবন্ধী রফিকুল কৃষক পরিবারের সন্তান। শারীরিক অক্ষমতার কারনে কোন পেশায় নিয়োজিত হতে না পারাই যুবক বয়স থেকেই ভিক্ষাবৃত্তিকেই আয়ের পথ হিসেবে বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন। এ পেশায় রফিকুলের প্রতিদিনের আয় হয় ৭০ থেকে ১শ টাকা। এই সামান্য আয় দিয়েই কোন রকমে চলে রফিকুলের ৪ সদস্য বিশিষ্ট পরিবার।
রফিকুল জানায়, আমি শারীরিক প্রতিবন্ধী। দীর্ঘ ৩১ বছর ধরে খোলা আকাশের নিচে এই স্থানটিতেই বসে ভিক্ষা করে আছসি । যেদিন ঝড়-বৃষ্টি হয় কিংবা প্রতিকুল আবহাওয়া থাকে সেদিন এখানে এসে ভিক্ষা করতে না পারায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে না খেয়েই দিন পার করতে হয়।
স্থানীয়- আলমগীর (৩০), মাসুদ রানা (২২), শফিকুল ইসলাম (২০) জানান, আমরা জন্মের পর থেকেই দেখে অাসছি উনি এই জায়গাটিতেই বসে ভিক্ষা করে আসছেন। আমরা আশ্চর্য্য হই যে উনি কিভাবে এরকম খোলা আকাশের নিচে উত্তপ্ত রোদে বসে ভিক্ষা করেন। যদি কোন ব্যক্তি অথবা জনপ্রতিনিধি উনাকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রদান করতেন অথবা বসার জায়গাটিতে একটি টেউ টিনের ছায়লা তৈরী করে দিতেন তাহলে হয়তোবা উনার দুর্ভোগ কিছুটা কমে আসত।
পথচারী- রাসেল (৩৪) ও শেফালি (৩০) বলেন, আমরা এই পথ দিয়ে নিয়মিত চলাচল করি। আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন অসহায় এই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিটির এই জায়গাটিতে বসে থেকে কয় টাকা আয় হয়। জনপ্রতিনিধিরা অথবা বিত্তবান ব্যাক্তিরা যদি মানবিক সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন তাহলে আর তাকে ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করতে হবে না ।
Like!! I blog quite often and I genuinely thank you for your information. The article has truly peaked my interest.