নগিনা জোহা উচ্চ বিদ্যালয়ে এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানী!

 

নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা, প্রেসবাংলা২৪ডটকম: নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় নগিনা জোহা উচ্চ বিদ্যালয়ে এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানী করায়  শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করে । পরে  প্রতিবাদ করার অভিযোগে শিক্ষার্থীদের মারধর করায় দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত ও স্কুলের বর্তমান পরিচালনা কমিটি ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে ।

২৪ জুলাই (বুধবার) সকালে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে সরেজমিনে স্কুলে গিয়ে তার সত্যতা জেনে স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান ঐ নির্দেশনা দেন ।

স্কুলে পরিচালনা পর্ষদের উপস্থিতিতে অভিযুক্ত দুই শিক্ষক এমপি সেলিম ওসমান প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন । সেলিম ওসমান মারধরের শিকার শিক্ষার্থীদের বক্তব্য নেন এবং অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে এ ব্যাবস্থা গ্রহণ করেন ।

 

 

শিক্ষকদের মধ্যে ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগে শিক্ষক আল-আমিন এবং শিক্ষার্থীদের মারধরে অভিযোগে শিক্ষক কাউসারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় ।

জানা গেছে, সম্প্রতি বিদ্যালয়ের ইংরেজী শিক্ষক আল আমিন ৯ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানী করে, কয়েকজন ছাত্রী এ ঘটনা দেখে প্রধান শিক্ষকের কাছে নালিশ করে । পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক বিষয়টি ম্যানেজিং কমিটিকে জানালেও তারা কোন ব্যবস্থা না নিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে । এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে ২২ জুলাই ক্লাস বর্জন করে স্কুল মাঠে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে ।

পরদিন ২৩ জুলাই মঙ্গলবার স্কুলে এসে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করতে চাইলে বিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক কাউসার ও গণিত বিষয়ের শিক্ষক রতন চন্দ্র সূত্রধর বেত ও লাঠি নিয়ে শিক্ষার্থীদের এলোপাথাড়ি পেটায় । এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয় ।

সেলিম ওসমান সহ অন্যরা স্কুলে উপস্থিত হলে শিক্ষার্থীরা তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখান । তখন অভিযুক্ত শিক্ষক নিজেও মারধরে কথাটি শিকার করেছে । অপরদিকে ছাত্রীকে এস এম এস এর মাধ্যমে প্রলোভন এবং কু প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়টি শিক্ষক আলআমিন স্বীকার করেছেন । ১৫ জন শিক্ষার্থীর সকলের উপস্থিতের সাক্ষ্য প্রদান করেন । কিন্তু স্কুল পরিচালনা কমিটি এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি ।

এদিকে সেলিম ওসমান বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে স্কুলটি পরিচালনার জন্য জেলা প্রশাসকের অনুমতিক্রমে এডহক কমিটির মাধ্যমে পরিচালনা করার জন্য অনুরোধ করেন এবং ঈদ উল আযহার পরে নিয়মানুযায়ী নির্বাচনে দেওয়ার অনুরোধ রাখেন ।

এম পি সেলিম ওসমান দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “ আমাদের মায়ের নামে স্কুলটি অবকাঠামো এবং শিক্ষাগত মান আরোও আধুনিক ও উন্নত হওয়ার প্রয়োজন ছিল। তিনি বিষয়টি সমাধান করায় এম এ রশিদ, আবু জাহের, সালাম চেয়ারম্যান, ইউএনও, শিক্ষা অফিসার বন্দর থানার ওসিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান ।

 

 

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com