নারায়ণগঞ্জকে নির্যাতনের প্রতীক হিসেবে দেখা হতো : ড. আসিফ নজরুল

প্রেসবাংলা ২৪. কম: বিচারব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ন্যায়বিচারে সহজগম্যতা নিশ্চিত করতে দেশে প্রচলিত বেইলবন্ড দাখিল পদ্ধতির পরিবর্তে ডিজিটাল মাধ্যমে ই-বেইলবন্ড প্রবর্তন করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গণে এই ঐতিহাসিক উদ্যোগের উদ্বোধন করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জকে নির্যাতনের প্রতীক হিসেবে দেখা হতো। এখানে ৭টি খুনসহ নানা ঘটনা ঘটেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নারায়ণগঞ্জ থেকে অনলাইন ই-বেইলবন্ড চালু করেছি। আইন ও বিচার বিভাগের সংস্কারের মূল উদ্দেশ্য হলো বিচারের সময় কমানো, বিচার প্রার্থীদের ভোগান্তি হ্রাস, খরচে সাশ্রয় এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।
উপদেষ্টা আরো বলেন, আমরা ফৌজদারি কার্যবিধিতেও পরিবর্তন এনেছি। সরকারি ম্যাজিস্ট্রেটসহ কর্মকর্তাদের স্বাক্ষী অনলাইনে নেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। ছোট মামলার জন্য যেন মানুষ বারবার কোর্টে না যায়, তার জন্য এটি পাইলট প্রজেক্ট আকারে চালু হয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে আমরা সারা দেশে এটি সম্প্রসারণ করতে পারব।
তিনি নিন্ম ও উচ্চ আদালতের সংস্কার ব্যবস্থার তফাৎও তুলে ধরেন। বলেন, উচ্চ আদালতের বিচারকেরা নিন্ম আদালতে ইনস্পেকশনে যান, তবে অনেক সময় এটি আনন্দভ্রমণে পরিণত হয়। নিন্ম আদালত সংস্কার করলেও উচ্চ আদালত আগের মতো থাকলে জনগণ লাভবান হবে না। আমরা যতদিন আছি সংস্কারের কাজ চালিয়ে যাব। সহযোগিতা থাকলে বিচার ব্যবস্থাকে আরো সুন্দরভাবে সাজাতে পারব।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এটর্নি জেনারেল মো: আসাদুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিয়া, নারায়ণগঞ্জ জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার প্রধান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানসহ আইনজীবী নেতৃবৃন্দ ও বিচারকগণ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ই-বেইলবন্ড প্রবর্তনের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রাপ্তি আরও সহজ, স্বচ্ছ ও প্রযুক্তিনির্ভর হবে। এটি সাধারণ জনগণের সময় ও অর্থ সাশ্রয় করবে এবং বিচার ব্যবস্থায় নতুন দিগন্তের সূচনা ঘটাবে।











