সড়ক দুর্ঘটনাকে শূন্যের কোঠায় আনার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি : ডিসি

প্রেসবাংলা ২৪. কম: সড়ক দুর্ঘটনাকে শূন্যের কোঠায় আনার লক্ষ্যে গ্রিন এন্ড ক্লীন কর্মসূচির আওতায় নারায়ণগঞ্জে পেশাদার গাড়ী চালকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ সভাকক্ষে জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ নারায়ণগঞ্জ সার্কেল এর আয়োজনে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিলুফা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথির রবক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, গাড়ি চালকদের প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। একটি উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের মাধ্যমে একজন চালক সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমাতে পারে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চালকরা ট্রাফিক আইন ও বিধি-নিষেধ সম্পর্কে জানতে পারে, যা তাদের আরও দায়িত্বশীল করে তোলে। আমরা সড়ক দুর্ঘটনাকে শূন্যের কোঠায় আনার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব আপনাদের। ড্রাইভার ও হেলপারদের নির্দিষ্ট কালারের পোশাকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবং আপনাদের মাধ্যমে একটি মডেলে পরিণত করতে চাই সারা বাংলাদেশে। আস্তে আস্তে সকল জেলাতেই এই পোশাক এর ব্যবস্থার প্রচলন হবে। আমাদের সকলকে দুর্ঘটনা রোধে কাজ করতে হবে। আমাদের দ্বারা আর যাতে কোন প্রকার এক্সিডেন্ট না ঘটে সেইভাবেই আমাদের গাড়ি চালাতে হবে।
এছাড়াও শ্রমিক কমিটির নেতৃবৃন্দরা বলেন, শহরে অধিক পরিমাণে অটো রিক্সা যা যানজটের অন্যতম প্রধান কারণ। তাই জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন জানিয়েছেন অটো রিক্সা কমিয়ে আনার জন্য। এবং শৃঙ্খলা ভাবে যাতে অটো চলাচল করে রাস্তায়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. এ এফ এম মুশিউর রহমান, বিআরটিএ সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি.) মো. মাহবুবুর রহমান, মোটরযান পরিদর্শক মো. সাইফুল কবীর ও জেলা বাস মালিক সমিতির নেতারা। সিটি বন্ধন পরিবহনের ২০ জন, উৎসব পরিবহনের ৯ জন, নিউ আনন্দ পরিবহনের ৪ জন, বন্ধু পরিবহনের ১২ জন এবং বাধন পরিবহনের ৮ জন চালক অংশ নেন।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় নিরাপদ সড়কের গুরুত্ব, সড়ক দুর্ঘটনার কারণ ও প্রতিকার, মোটরযান চলাচলের নিয়মাবলী, ট্রাফিক আইন, ট্রাফিক সাইন, সিগন্যাল, সড়ক পরিবহন আইন এর আওতায় বিভিন্ন অপরাধ ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা, মোটরযানের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, শব্দদূষণ, শীতকালে কুয়াশায় সতর্কতার সঙ্গে গাড়ি চালানো, চালকদের স্বাস্থ্যবিধি, শিষ্টাচার, নৈতিকতা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া ও উন্নত মানসিকতা গঠন, যাত্রী সাধারণের সাথে ভালো আচরণসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।











