কুতুবপুরের সন্ত্রাসী বিল্লাল বাহিনীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
প্রেসবাংলা ২৪. কম: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের ০৫নং ওয়ার্ডের দেলপাড়া মৌজার আদর্শ নগর এলাকায় এক নারীর জমি দখল ও তাকে হত্যার চেষ্টাকরার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন হাজেরা আক্তার মুক্তা নামে ভুক্তভোগী ঐ নারী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, নিজের ক্রয়কৃত জমিতেবাড়ি নির্মাণ করে ও কিছু জায়গা খালি রেখে বসবাস করে আসছি। তার পাশেই ৩.৭৫ শতাংশজমি ক্রয় করে আওয়ামী সন্ত্রাসী বিল্লাল হোসেন মিয়াজী। সে চলাচলের জন্য রাস্তার কোনোজায়গা খালি না রেখেই পুরো জমিতে টিনশেড বাড়ি নির্মাণ করে এবং আমার জায়গার উপরদিয়ে রাস্তা তৈরি করতে চায়। তখন আমি স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানের দারস্থ হলেও তারাকোনো সুরাহা করতে না পারায় আমার জায়গা আমাকে বুঝে নিতে বলেন। আমার জায়গায় উন্নয়নমূলককাজ করার সময় বিল্লাল হোসেন মিয়াজী, তার স্ত্রী নাজমা আক্তার বকুলি, নাজমুল হাসান উজ্জ্বলকাজে বাধা দেয় এবং আমাকে ও আমার মেয়েকে ব্যাপক মারধর করে এবং গলাটিপে হত্যার চেষ্টাকরে। এ বিষয়ে থানায় মামলা গ্রহন না করায় কোর্টে মামলা দায়ের করি, যার নং ৪৩৭/১৮। মামলা করার পর আওয়ামীলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী খালেক, হক, আহসান উল্লাহ বাহিনী মামলা তুলে নিতে আমাকে হুমকি দেয়।
মামলা তুলে না নেয়ায় তারা আবার আমাদের উপর হামলা করে। আমাকে ও আমার মেয়েকে মেরে রক্তাত্ব জখম করে ও আমার মেয়ের ২টি দাত ভেঙ্গে ফেলে এবং ঘরের বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে এসপি সাহেবের নির্দেশে ফতুল্লাথানায় আরও একটি মামলা দায়ের করি, যার নং ৬৯(৮)২১। পরবর্তীতে, আমার দায়ের করা ৪৩৭/১৮মামলায় বিল্লাল হোসেন মিয়াজী ও উজ্জ্বলের ১ বছর সশ্রম কারাদন্ডের রায় দেয় মহামান্য আদালত। আদালত থেকে জামিন নিয়ে তারা আমার মেয়েকে একা পেয়ে ব্যাপক মারধর করে, আমাকে খুন করারজন্য আমার মাথায় ২টি কোপ দেয় এবং আমার মুখ থেতলে দেয়। আমার মেয়ের মাথায় একটি কোপদেয়, হাত দিয়ে সেই কোপ ঠেকালে তার হাতে আঘাত লাগে। আমরা মা ও মেয়ে মারাত্মক রক্তাত্বজখম হই। আমার মাথায় ১৮টি সেলাই পড়ে।
দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর বাসায় আসলে তারা আবারআমাদের উপর হামলা করে এবং আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দেয়। এই মিথ্যা মামলায় আমাকে২৫ দিন কারাগারে থাকতে হয়। এই সুযোগে তারা আমার বাড়ির সামনের গেট, দেয়াল, সিসিক্যামেরা ভাংচুর করে এবং ইট ও রড নিয়ে যায়। মামলা তুলে নিতে অপরাধীরা এখনো বিভিন্নসন্ত্রাসী দিয়ে আমাকে হুমকি দিচ্ছে। মামলা করেও সন্ত্রাসী বিল্লাল ও তার সহযোগীদের হাতথেকে রক্ষা পাচ্ছি না। মিথ্যা মামলায় হয়রানী করাসহ গুম-খুন করার ষড়যন্ত্র করছে। পরিবারনিয়ে আমি খুবই কষ্টে এবং আতঙ্কে জীবনযাপন করছি। আমি আমার মেয়েকে নিয়ে শান্তিতে বাঁচতেচাই। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনে অন্তবর্তীকারীণ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা,বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি, প্রধান বিচারপতি, জেলা জজ নারায়ণগঞ্জ, জেলা প্রশাসক ও পুলিশসুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।