নারায়ণগঞ্জে ৪টিতে নৌকা ১টিতে লাঙ্গল বিজয়ী
প্রেসবাংলা ২৪. কম: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতিক)। তিনি নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৩ ভোট পেয়ে বেসরকরি ভাবে জয়লাভ করেন। এর আগে তিনি পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী ছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহার ভূঁইয়া কেতলি প্রতীকে পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৭৫ ভোট। তৃনমূল বিএনপি তৈমূর আলশ খন্দকার সোনালী আঁশ প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ১৯০ ভোট।
নারায়ণগঞ্জ-২ আড়াইহাজার আসনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবু বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। রোববার রাতে সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশতিয়াক আহমেদ তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। আওয়ামীলীগ প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবু নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৬৮ হাজার ২৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি জাতীয় পাটির আলমগীর সিকদার লোটন লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ২শ ৫৬ ভোট। এর আগেও নজরুল ইসলাম বাবু এ আসনের এমপি ছিলেন। বিজয়ী হয়ে নজরুল ইসলাম বাবু আড়াইহাজারবাসীকে অভিন্দন জানান। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদেরও অভিন্দন ও শুচ্ছো জানান। অপরদিকে, ভোট শুরুর ১৫ ঘণ্টা আগে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকের প্রার্থী কে এম আবু হানিফ হৃদয়।
আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর সন্ত্রাসী লোকজন তার এজেন্টদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এতে ভয়ে কেউ তার পোলিং এজেন্ট হতে রাজি হচ্ছে না। তাই এমপি বাবুর বলয়ের কাছে আত্মসমর্পন করে নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছেন তিনি।
আড়াইহাজার উপজেলা, আড়াইহাজার ও গোপালদী পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ ২ আসন। এ আসনে মোট ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১১৭টি। মোট ভোট কক্ষের সংখ্যা ৭৪১। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৩ হাজার ২৬৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ১২৫ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৬২ হাজার ১৩৯ জন। এখানে হিজড়া ভোটার আছেন ৩ জন।
নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ ২ আসন থেকে সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫ জন প্রার্থী। তারা হলেন— নজরুল ইসলাম বাবু (নৌকা, আওয়ামী লীগ), মো. আবু হানিফ হৃদয় (সোনালী আঁশ, তৃণমূল বিএনপি), শাহজাহান (গোলাপ ফুল, জাকের পার্টি), আলমগীর সিকদার লোটন (লাঙ্গল, জাতীয় পার্টি), শরিফুল ইসলাম (ঈগল, স্বতন্ত্র)। এখানে অন্য প্রার্থীরা হলেন— মো. আবু হানিফ হৃদয় (তৃণমূল বিএনপি), শাহজাহান (জাকের পার্টি) ও শরিফুল ইসলাম (স্বতন্ত্র)। এখানে বাবু ও লোটন ছাড়া বাকীদের প্রচারণা তেমন একটা ছিল না বললেই চলে।
নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী কায়সার হাসনাত নৌকা প্রতিকে ১ লাখ ১২ হাজার ৮০৮ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি লিয়াকত হোসেন খোকা লাঙ্গল প্রতিক পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৮১১ ভোট পান। নির্বাচনে কায়সার হাসনাত ৭৬ হাজার ৯২৭ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছে। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী এইচএম মাসুদ দুলালের ঈগল প্রতিক পেয়েছে ২১৪ ভোট, বিএনএম ওয়ারিউল রহমান খাঁন নোঙ্গল পেয়েছেন ২৬৬ ভোট, নারায়ণদাস বিকল্পধারা কুলা প্রতিক পেয়েছেন ১৯১ ভোট, বাংলাদেশ সুপ্রিমপার্টির আসলাম একতারা প্রতীকে পেয়েছেন ৭২৫ ভোট, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. আরিফ পেয়েছেন ১৩৬ ভোট ও তরিকত ফেডারেশনের মুজিবুর রহমান মানিক ফুলের মালা পেয়েছেন ২৮৯ ভোট। সোনারগাঁয়ে মোট ভোটার সংখ্যা ৩লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৭জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১লাখ ৬৭ হাজার ১৪৯ জন মহিলা ভোটার ১লাখ ৭৮ হাজার ৭৮৯জন। এবার ভোটারদের ভোটার দেওয়ার জন্য ১৩১টি কেন্দ্র করা হয়েছে এসব কেন্দ্রে ভোটারদের জন্য বুথ তৈরী করা হয়েছে ৭৭১টি।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীকে শামীম ওসমান ১ লাখ ৯৫ হাজার ৮২৭ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তবে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাকের পার্টির মুরাদ হোসেন জামাল গোলাপ ফুল প্রতীকে ৭ হাজার ২৬৯ ভোট পেয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মোট ভোট কেন্দ্র ১৭৫টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফল অনুযায়ী লাঙ্গর প্রতীকে সেলিম ওসমান ১ লাখ ১৫ হাজার ৪২৫ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে জয়লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ইসলামী ফ্রন্টেন চেয়ার প্রতীকের একরামুল হক ৩ হাজার ৭৩৩ ভোট পেয়েছেন।