মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনে সভাপতি পদে জুয়েল এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মারুফুল ইসলাম এগিয়ে
প্রেসবাংলা ২৪. কম: আগামী ৩১শে জুলাই আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের সম্মেলন। এরই মধ্যে সম্মেলনের কাজও শুরু করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা। পদপত্যাশীরাও দৌড়ঝাপ চালাচ্ছেন যে যার মতো। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের দারস্থ হচ্ছেন পদ নিশ্চিতের জন্য। সম্মেলনের ঘোষণায় আবারও প্রাণ ফিরে পেয়েছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
এতে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহী প্রার্থীদের জীবন বৃত্তান্ত বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পদের আলোচনায় রয়েছেন তৎকালীন মহানগরে সভাপতি জুয়েল হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে এগিয়ে রয়েছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মারুফুল ইসলাম মহাসিন।
এদিকে, ২০২২ সাল ১৫ জানুয়ারি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন চলাকালে জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। তবে এবারো তিনি মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি প্রার্থী হবেন বলে জানিয়েছেন।
জুয়েল হোসেন জানান, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার হাতে গড়া এই স্বেচ্ছাসেবক লীগে সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করে যাচ্ছি। ছাত্রলীগ থেকে শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক থেকে মহানগর শাখার সভাপতি দায়িত্ব পালন করেছি। মানুষের পাশে দাঁড় করিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগকে শক্তিশালী সংগঠন করেছি। আমার কাজে ভুল থাকতে পারে, সেগুলো সংশোধন করে নিবো। আমি তো মানুষ, ফেরেশতা নই। আগামী দিনে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগকে আরো শক্তিশালী করার জন্য সভাপতি প্রার্থী হবো। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু আমার কাজের মূল্যায়ন অবশ্যই দিবেন।
অন্যদিকে, পিছিয়ে নেই সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মারুফুল ইসলাম মহাসিন। তিনি মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী।
সার্বিক বিষয়ে নিয়ে কথা হলে মারুফুল ইসলাম জানান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব এখন সময়ের দাবি। আমি দলে অনুপ্রবেশকারী নই। ছাত্রজীবন থেকে সততার সঙ্গে রাজনীতি করে যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছি। টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, মাদক এবং কোন অপরাধের সাথেও কোনদিন জড়াইনি। আমি ২০০২ সালে শহর ছাত্রলীগের অন্যতম নেতা বর্তমান মহানগর আওয়ামীলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মাহাবুবুল আলম চঞ্চল ভাইয়ের হাত ধরে নারায়নগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করি। ২০০৩ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু ও জিএম আরাফাত ভাইয়ের কমিটির কার্যকরি সদস্য হই। পর্যায়ক্রমে ১/১১ লগি বৈঠার আন্দোলন থেকে শুরু করে সকল আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে থেকে পুলিশের নির্মম নির্যাতন সহ্য করে অগ্রণী ভূমিকা পালন করি। নিজের জীবন বাজি রেখে জামায়াত-বিএনপি ও শিবিরের তান্ডবের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছি। আওয়ামী লীগের দুঃস্বময়ে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে ভূমিকা রেখেছি। এখনও দলকে সু-সংগঠিত করতে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। এরপর ২০১১ তে নারায়নগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে সভাপতি হিসেবে সাফায়েত আলম সানি ভাই এবং মিজানুর রহমান সুজন সাধারন সম্পাদক নিবাচিত হলে আমি সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করি। পরে আমার অভিভাবক শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি নাজমুল আলম সজল ভাইয়ের নেতৃত্বে রাজনীতি করি। আমার ২১ বছরের রাজনীতিতে এবার আমি মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে প্রার্থী হয়েছি। আমি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে তাদের সেবা করতে আগ্রহী। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দেশবাসী ও আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের হাইকমান্ড যেমন ব্যক্তিত্ব খুঁজছেন; আমি মনে করি প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমি যোগ্য।
এছাড়াও মারুফুল ইসলাম মহাসিন আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে এবং নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমানের নির্দেশে আমরা রাজপথে আছি এবং আগামীতেও থাকবো। আগামীতে জননেতা একেএম শামীম ওসমান যে কর্মসূচির ডাক দেবেন আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে থেকে তা মোকাবেলা করবো। একেএম শামীম ওসমান দলের প্রাণ। আমি দীর্ঘদিন যাবৎ তার রাজনীতির সাথে জড়িত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুদ্ধি অভিযানের মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগে সৎ, দক্ষ ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতৃত্ব উপহার দেবেন বলে আমরা আত্মবিশ্বাসী এবং সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের মূল্যায়ন করবেন বলে আমরা আশাবাদি।
জানা যায়, পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক হিসেবে যারা নিবেদিত, এই ধরণের আর্দশবান, ত্যাগী ও ঐতিহ্যগতভাবে যারা জাতির পিতার আদর্শে বিশ্বাসী এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তাদের মাঝ থেকে আগামী কাউন্সিলে যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচিত করা হবে। কারো বিরুদ্ধে সুনিদিষ্ট অভিযোগ থাকলে তাকে সংগঠনের জায়গা দেয়া হবে না। এতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের মূল্যায়ন করা হবে জানা যায়।