প্রেসবাংলা ২৪. কম: নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আমি কাল নাও থাকতে পারি। যেকোন সময় চলে যেতে পারি। আমরা অনেক টাকা দেখেছি অনেক অভাব দেখেছি। টাকার পাহাড়ের ওপর শুয়েছি। আবার এক বেলা ভাত খেয়েছি এক বেলা খাইনি। আমার বড় ভাই সেলিম ওসমান বায়তুল মোকাররমের সামনে মুরগী বেঁচত। আমাদের জন্য এক টাকাও রেখে যাননি। আমাদের একমাত্র বাড়িটি নিলামে উঠিয়ে দেয়া হয়েছিল। শ্রমিকরা চাঁদা দিয়ে আমাদের বাড়ি ছাড়িয়ে দিয়েছিল। সেদিন আমার বাবা এসে বলেছিল এখন থেকে তোমরা আমার বাড়িতে না শ্রমিকদের বাড়িতে বড় হচ্ছ। সবসময় তাদের পক্ষে কথা বলবে।
রোববার (১৯ মার্চ) বিকেলে ফতুল্লা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধন ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ওরা বলল এর আগে যে এমপি ছিলেন গিয়াসউদ্দিন ভাই তিনি এখানে নজর দেয়নি। গিয়াস ভাই এমপি হয়নি। তাকে মোহাম্মদ আলী ভাই এমপি বানিয়েছিল। তিনি বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছিল। আমাকে ৩৬ হাজার ভোটের ব্যাবধানে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল। ভোটকেন্দ্রে তার পোলিং এজেন্ট ছিল না বিভিন্ন জায়গায়। রাতে ফলাফল পাল্টে দেয়া হল। সেই সময় আমি বলেছিলাম মোহাম্মদ আলী ভাই সবার আগে আপনাকেই কামড় দিবে, হয়েছেও তাই।
তিনি বলেন, বলা হয়েছে কলেজটা আপনার নামে হবে। এটা আমার নামে হবে না। আমার নামে শুধু আমার কবরস্থান হবে। যদি শেখ হাসিনাকে আল্লাহ ক্ষমতায় রাখেন ইনশাআল্লাহ এই কলেজ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী ভাইয়ের নামেই হবে। কারণ তারা আমাদের এই দেশ দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, স্কুল হবে কলেজও হবে। লাভ কী? মাদক আমাদের সমাজের জন্য অনেক বড় থ্রেট। ভাল কাজ করতে ভাল মানুষ দরকার। আমাদের বয়স হয়ে গেছে। আমরা ভাল কিছু করতে চাই৷ আমরা আমাদের চিন্তা করি না, তোমাদের চিন্তা করি।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা মানে উন্নত বাংলাদেশ। আমাদের শৈশব কেড়ে নেয়া হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে। তার কিছু হলে এ দেশ এমন পর্যায়ে চলে যাবে যেখান থেকে উঠে আসা কঠিন হয়ে যাবে। আপনারা তার জন্য দোয়া করবেন।
সাবেক সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ড্রাস্টির সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত ফেরদৌসসহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।