বীর মুক্তিযোদ্ধাকে শ্বাসরোধে হত্যা, টাকা-স্বর্ণালঙ্কার লুট
প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪.কম: ফতুল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিমকে শ্বাসরোধে হত্যার পর তার ঘর থেকে ২০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটের অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এর আগে, মঙ্গলবার রাতে ফতুল্লার এনায়েতনগর ইউনিয়নের মাওলা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম একই এলাকার মহব্বত আলীর ছেলে।
নিহতের ছেলে মো. মাসুদ জানান, মঙ্গলবার পরিবারের লোকজন আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে যান। রাতে তার বাবা এবং তিনি নিজ নিজ রুমে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত ১১টার দিকে তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় হাত-পা ও চোখ বেঁধে মারধর করা হয়। তার বাবার রুমে কয়জন ছিলেন তা জানা নেই। তবে দুর্বৃত্তরা রাত ২টার দিকে যাওয়ার সময় জমি বিক্রির ২০ লক্ষাধিক টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। দুর্বৃত্তরা কীভাবে রুমে প্রবেশ করেছে তা জানেন না মাসুদ।
পাশের ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়া মাহিনুর বেগম জানান, তার স্বামী কাঁচামাল ব্যবসায়ী। প্রতিরাতে ২টার দিকে তিনি কাঁচামাল সংগ্রহের জন্য বাসা থেকে বের হন। রাত ২টার দিকে তার ঘুম ভাঙলে বাড়িওয়ালার ঘরের দরজায় শব্দ এবং গোঙানির শব্দ শুনতে পেয়ে তার স্বামীকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন তিনি। তখন তার স্বামী দরজা খুলে দেখতে পান বাড়িওয়ালার ফ্ল্যাটের প্রধান ফটক খোলা। তিনি ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন রুমে প্রবেশ করার দুইটি দরজা বাইরে থেকে আটকানো। পরে বাইরের ছিটকিনি খুলে দেখেন গামছা দিয়ে বাড়িওয়ালার ছেলে মাসুদের হাত-পা বাঁধা এবং অপর একটি কাপড়ের টুকরো দিয়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে রয়েছেন। তখন তিনি তার হাত-পা ও মুখের বাঁধন খুলে দেন। পাশের রুমে গিয়ে দেখেন বিছানার ওপর লাশ পড়ে রয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার এসআই হুমায়ুন কবির জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তবে যে ঘরে ঘটনা ঘটেছে সে ঘরে বাইরে থেকে প্রবেশ করার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। ঘরটিতে চারটি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। তবে ক্যামেরার মেশিন থেকে হার্ড ডিস্ক খুলে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ রিজাউল হক জানান, ঘটনাটি রহস্যজনক। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।