হল্যান্ড পাগল ভক্তের বাড়ি সেজেছে প্রিয় দলের রঙে
স্টাফ রিপোর্টার, প্রেসবাংলা২৪.কম: সারা দেশের ফুটবল প্রেমিকদের বেশিরভাগ যখন আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিলকে নিয়ে মাতামাতিতে ব্যস্ত তখন নারায়ণগঞ্জে দেখা মিলেছে এক হল্যান্ড ভক্তের। হল্যান্ড ভক্ত তার ‘মায়াকানন’ নামের পুরো বাড়ির বাইরে সাজিয়েছেন হল্যান্ডের পতাকার রঙ দিয়ে। পতাকার রঙে বিছানার চাদর, বালিশ কভার, সোফা কভার সাজিয়ে তুলেছে। ফ্লোরে ভিতরে ৮ ফুট ও ১২ ফুটের আকর্ষণীয় স্টেডিয়াম তৈরি করেছে। ঘরে সংরক্ষণ আছে ১৯৮৮ সাল থেকে বর্তমান সকল রকমের ২৫টি জার্সি ও টি শার্ট। আছে হল্যান্ডের কাপ (কালো, নীল), প্রাক্টিস কিট, হল্যান্ডের পানির পট, হল্যান্ডের পানির মগ, হল্যান্ডের প্লেট, হল্যান্ডের বল, হল্যান্ডের চাবির রিং সহ অনেক টুকিটাকি জিনিস।
হল্যান্ড ভক্ত বদরুদ্দোজা লস্কর নামের সরকারি ওই কর্মকর্তা বরিশাল আগৈলঝাড়া উপজেলার একাউন্টস অফিসার মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা লস্কর নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জ গোদনাইল এনায়েতনগরের বাসিন্দা।
তিনি হল্যান্ডের ভক্ত হলেও পরিবারের লোকজন আবার ভিন্ন দলের সমর্থক। স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস মিলির প্রিয় দল আর্জেন্টিনা। ১০ বছরের ছেলে আমির হামজা লস্কর জার্মানী ও ছোট ছেলে ৩ বছরের স্বাদ আব্দুল্লাহ শাহেদের প্রিয় দল ব্রাজিলের পতাকাও সাটানো বাড়িতে।
বদরুদ্দোজা লস্কর হল্যান্ড প্রসঙ্গে বলেন, ৮ বছর বয়সে ১৯৮৮ সালের ইউরো কাপে হল্যান্ড ফুটবল দলকে দেখেছিলাম। খেলোয়ার রুটগুলিতের ইউরো কাপ উঁচিয়ে ধরার দৃশ্য আমাকে আজো অব্দি আবেগিত করে তুলে। রুটগুলিত ছাড়াও ভ্যান বাস্তেন, ফ্রাংক রাইকার্ড, রোনাল্ড কোয়েম্যান, ফ্রাংক ডি বোয়ের, রোনাল্ড ডি বোয়ের এদের খেলা আমার ভালো লাগত। সময়ের ব্যবধানে মিঃ রয় নিলষ্টরয়, ক্লুইভার্ট, ডি জং, কোকু, ওভারমার্স, ডেনিস বার্গক্যাম্প, ভ্যান ড্যান স্যার এদের খেলা আমাকে মুগ্ধ করেছে।
তিনি আরো বলেন, সবশেষ ২০১০সালে আর জে রোবেন, ভ্যান পার্সি, ওয়েসলি স্লাইডার এই ত্রয়ী হল্যান্ড ফুটবলকে ফাইনালে তুললেও স্পেনের কাছে ১-০ গোলে হারার স্মৃতি আমি আজো ভুলতে পারি নাই।
লস্কর এবার হল্যান্ডের ডিফেন্স নিয়ে বলেন, এই বিশ্বকাপে সবচেয়ে শক্তিশালী দিক ডিফেন্স। বর্তমান দলে ভ্যান ডাইক এর মতো বিশ্বসেরা ডিফেন্ডার আছে, সাথে আছে ডি লিট, নাথান আকে, ড্যাম্ফ্রাইস, মালাসিয়া এর মতো বিশ্বের অন্যতম ডিফেন্ডাররা। মাঝ মাঠে আছে বিশ্বসেরা ফ্রাংক ডি ইয়ং, ডি রুন, কোমপেয়ারস এর মতো খেলোয়াড়রা স্ট্রাইকিং এ আছে মেনফিস ডিপেই, গেগপো, নুয়া ল্যাং। এই দলে বিশ্বকে চমক দেখানো মাত্র ১৯ বছর বয়সী সিমন্স ও আছে, যে একাই খেলার মোড় ঘুরে দিতে পারবে ইনশাআল্লাহ। আমার আশা এবার সিমন্স ই হবে বিশ্বকাপের সেরা তরুন প্লেয়ার।