জেলা পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডে ভোটের লড়াইয়ে এগিয়ে জাহাঙ্গীর

এবার জেলা পরিষদ নির্বাচনেও ভরাডুবি হতে পারে মাসুমের!

স্টাফ রিপোর্টার, প্রেসবাংলা২৪.কম: বন্দর থানার ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর এবার নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনেও ভরাডুবি হতে পারে মাসুম আহমেদের! তিন থানার ১২ ইউনিয়নের ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, জাহাঙ্গীর বিগত সময়ে তার ক্লিন ইমেজকে ধরে রাখায় এবারও তাকে ভোট দিয়ে জয়ী করা হবে এবং অপরদিকে ভোটারদের বেশির ভাগই মাসুমকে অপছন্দ করায় নির্বাচনে তার ভরাডুবি হবে। তবে কিছু কিছু ভোটাররা নির্বাচনে হাড্ডহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছেন।

আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ায় সাংসদের অনুগত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যরা জাহাঙ্গীরকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে বলে জানায় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে, মাসুম আহমেদ গেল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নিজ ইউনিয়ন ধামগড় থেকেই পরাজিত হয়েছেন। তার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সদস্যরাই তাকে ভোট দিবেনা বলে জানা গেছে। যে নিজ ওয়ার্ডের ভোটারদের মন জয় করতে পারেনি সে কিভাবে অন্য ইউনিয়নের ভোটারদের ভোট পাবে সে বিষয়ে তার ইউনিয়নের লোকজনই প্রশ্ন তুলেছে। অন্যদিকে, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেনকে বিজয়ী করতে তার ওয়ার্ডসহ তার থানা ও পাশর্^বর্তি সদর থানার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা একাট্টা হয়ে পাশে রয়েছেন। সুত্রের খবর নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনুসারিদের স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। নির্বাচনের একদিন আগে তার চূড়ান্ত বার্তা জাহাঙ্গীর হোসেনের পক্ষেই বলে জানা গেছে। চূড়ান্ত নির্দেশনা দেয়ার পাশাপাশি সংসদ সদস্য ভোটের দিন পর্যন্ত সকলকেই মাঠে থেকে কাজ করে যেতে বলেছেন।

শামীম ওসমানের অনুসারিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের নির্বাচনের ব্যাপারে তার চূড়ান্তনির্দেশনা তার অনুগতদের জানিয়ে দিয়েছেন। সংসদস সদস্য শামীম ওসামনের অবস্থান পরিস্কার হওয়ায় অনুসারিরাও সেদিকেই ঝুঁকবেন।

সুত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের নির্বাচনে ২নং ওয়ার্ড থেকে সাধারণ সদস্য পদে মনোনয়ন জমা দেয়া ৬ জন লড়াইয়ে ছিলেন। তারা হলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন, ধামগড়ের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ, ফতুল্লার আওয়ামী লীগ নেতা ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মোস্তফা হোসেন চৌধুরী, আমির উল্লাহ রতন, মোবারক হোসেন, রাসেল শিকদার।

এরই মধ্যে গত ২৭ সেপ্টেম্বর কুতুবপুরে একজন মেম্বারের বাড়িতে বৈঠকে বসেন আওয়ামী লীগ নেতারা। উপস্থিত ছিলেন কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল, বক্তাবলীর চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী, কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু, ফতুল্লা ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন, এনায়েতনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম প্রমুখ।

বৈঠকের বিষয়ে গণমাধ্যমে শওকত আলী জানান, আমাদের এমপি সাহেব বলছেন একজন প্রার্থী হলে ভালো হয়। পরে সকলে বসে জাহাঙ্গীর আলমকে সমর্থন দিয়েছেন। এদিন বৈঠকে ফতুল্লার আওয়ামী লীগ নেতা ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মোস্তফা হোসেন চৌধুরী, আমির উল্লাহ রতন, মোবারক হোসেন নিজেদের ভোট থেকে সরিয়ে নিয়ে জাহাঙ্গীরের পক্ষে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com