স্টাফ রিপোর্টার, প্রেসবাংলা২৪.কম: জেলা পরিষদ নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ১৪ দিন। ইতিমধ্যে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সদস্য পদে ২টি ওয়ার্ডে সমঝোতা হওয়ায় সংরক্ষিত সদস্য পদে ২ টি ও সাধারন সদস্য পদে ৩ টি ওয়ার্ডে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ২ নং ওয়ার্ড। এখান থেকে লড়াইয়ে ছিলেন ৬জন প্রার্থী। পরবর্তিতে দুই জন প্রভাবশালী সংসদ সদস্যের হস্তক্ষেপে ৩ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন। জেলা পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডে এখন প্রার্থী রয়েছেন ৩ জন। এর মধ্যে মুল লড়াইয়ে রয়েছেন ২ জন। এরা হলেন, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদ্য সাবেক সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন ও বন্দরের ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাসুম আহমেদ। জাহাঙ্গীর হোসেন নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত ও মাসুম আহমেদ নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমানের আস্থাভাজন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দুই ভাইয়ে দুই আস্থাভাজনের লড়াই হবে জেলা পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডে। যদওি রাজনৈতিক মারপ্যাচে কে পরবেন সে বিষয়ে আগাম ধারনা দেওয়া না গেলেও রাজনৈতিক সমীকরনে জাহাঙ্গীর হোসেন এগিয়ে থাকছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জেলা পরিষদ সদস্য থাকা অবস্থায় ক্লিন ইমেজ ধরে রেখেছিরেণ জাহাঙ্গীর হোসেন। সে ধারা বর্তমানেও তিনি ধরে রেখেছেন, অন্য দিকে মাসুম আহমেদের বিরুদ্ধে ব্যাপ অভিযোগ রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান থাকাবস্থায় নানা অভিযোগ ও বির্তকিত কর্মকান্ডের জন্য ইউনিয়নের ভোটাররা থাকে প্রত্যাখান করে। যার ফল শ্রুতিতে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচনে ভারাডুবির শিকার হন মাসুম আহমেদ।
কয়েকজন জনপ্রতিনিধি জানান, ২নং ওয়ার্ডে এ মুহূর্তে তিনজন প্রার্থী থাকলেও মূল লড়াইটা হবে মাসুম আহমেদ ও জাহাঙ্গীর হোসেনের মধ্যে। এর মধ্যে সবশেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মাসুম ভোটের লড়াইয়ে পরাজিত হন। ধামগড়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন কামাল হোসেন। জাহাঙ্গীর বর্তমানেও জেলা পরিষদের সদস্য। তিনি মূলত আওয়ামী লীগের এমপি শামীম ওসমানের অনুগামী। তৃতীয় প্রার্থী হিসেবে ছাত্রলীগ নেতা রাসেল শিকদার রয়েছে।
২নং ওয়ার্ড থেকে সাধারণ সদস্য পদে মনোনয়ন জমা দেয়া ৬ জন লড়াইয়ে ছিলেন। তারা হলেন ফতুল্লার আওয়ামীলীগ নেতা ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন, ধামগড়ের সাবেক চেয়ারম্যান মাছুম আহম্মেদ, ফতুল্লার আওয়ামীলীগ নেতা ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মোস্তফা হোসেন চৌধুরী, আমির উল্লাহ রতন, মোবারক হোসেন, রাসেল শিকদার। ২৭ সেপ্টেম্বর কুতুবপুরে একজন মেম্বারের বাড়িতে বৈঠকে বসেন আওয়ামীলীগ নেতারা। সেখানে বসে মোস্তফা হোসেন চৌধুরী, রতন, মোবারক হোসেনকে বসিয়ে দিয়ে জাহাঙ্গীরকে সমর্থন দেওয়া হয়।
আওয়ামীলীগের নেতারা মনে করেন, জাহাঙ্গীর হোসেন এবারও বিপুল ভোটে জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হবেন। শামীম ওসমানের ভ্যান গার্ড হিসেবে পরিচিত জাহাঙ্গীর হোসেন নির্বাচনে পরাজিত হলে সেটা পক্ষান্তরে শামীম ওসমান ও আওয়ামীলীগের পরাজয় হিসেবে মনে করেন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।