আড়াইহাজারে দুই গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু
আড়াইহাজার প্রতিনিধি, প্রেসবাংলা২৪.কম: আড়াইহাজারে পৃথক দুটি স্থানে সানিয়া আক্তার(২২) ও আকলিমা আক্তার(৩০) নামে দুই গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে একজনকে হত্যা করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে ও অপরজনক কীটনাশক ঔষধ খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে নিহতদের পরিবার দাবী করছে।
ঘটনা গুলো ঘটেছে যথাক্রমে উপজেলার আড়াইহাজার পৌরসভার ঝাউগড়া গ্রামে ও বিশনন্দী ইউনিয়নের দড়িবিশনন্দী গ্রামে মঙ্গলবার (৩০ আগষ্ট) দিবাগত রাতে।
ঝাউগড়া গ্রামের ইমনের স্ত্রী সানিয়া আক্তার ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে জানা গেছে। মৃত ছানিয়া আক্তারের পরিবারের লোকজনদের অভিযোগ ছিল গাড়ী কেনার জন্য ১০ লাখ টাকা যৌতুক চেয়ে না পেয়ে তাকে হত্যা করে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে তার স্বামী ও পরিবারের লোকজন। পুলিশ খবর পেয়ে বুধবার বেলা ১১টার দিকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে যেকোন সময় এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর স্বামী ইমনসহ মৃতের শ্বশুর বাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় উত্তেজিত লোকজন হত্যারকান্ডের সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবীতে থানায় বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আসেন। এসময় থানা চত্বরে তারা হট্রগোল শুরু করেন।
মৃত সানিয়া আক্তারের বাবা ছানাউল্যাহ মিয়া বলেন, আড়াই বছর আগে আমার মেয়ের সঙ্গে স্থানীয় ঝাউগড়ার দক্ষিণপাড়া এলাকার সেলিমের ছেলে সবজি ব্যবসায়ী ইমনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিলনা। এর মধ্যে সনিয়া ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। যৌতুক নিয়ে পারিবারিক কলহের কারণে ৪ মাস ধরেই সানিয়া আক্তার বাবার বাড়িতে বসবাস করছিল। গত মঙ্গলবার সকালে তাকে বুঝিয়ে ফের স্বামীর বাড়িতে পাঠানো হয়। ছানাউল্যাহ আরও বলেন, জামাতা ইমন গাড়ী কিনার জন্য চাহিদা মাফিক ১০ লাখ টাকা না পেয়ে আমার মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
অপর দিকে উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়নের দড়িবিশনন্দী গ্রামের মজিবর ওরফে মজির স্ত্রী আকলিমা আক্তার মঙ্গলবার (৩০ আগষ্ট) সকালে দাম্পত্য কলহের জের ধরে কীটনাশক ওষুধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি একই গ্রামের বছিরউদ্দিনের (বইচ্ছার) মেয়ে। দড়ি বিশনন্দী গ্রামের হান্নান মেম্বার জানান, তাকে সঙ্গে সঙ্গে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে অবস্থা গুরুতর বিধায় কর্তব্যরত ডাক্তার ঢামেক হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যু হয়। নিহতের পরিবারের দাবী তাকে বিষপানে হত্যা করা হয়েছে।
আড়াইহাজার থানার ওসি আজিজুল হক হাওলাদার বলেন, ময়না তদন্তের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।