স্টাফ রিপোর্টার, প্রেসবাংলা২৪.কম: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সন্ত্রাসী সামেদ আলী বাহিনী আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এবার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় চেয়ারম্যান এর ভাতিজার বাড়িতে হামলা চালিয়ে নারী সহ অন্তত ৬জনকে পিটিয়ে আহত করেছে সন্ত্রাসী সামেদ আলী বাহিনী। এসময় সন্ত্রাসীরা বাড়িঘর ভাংচুরও করেছে।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে ফতুল্লার চর বক্তাবলী এলাকায় এঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ফতুল্লার বক্তাবলীর আকবরনগর এলাকার হাজী সামেদ আলীর সন্ত্রাসী পুত্র সন্ত্রাসী ওসমান গনি খারাপ প্রকৃতিক লোক। এলাকায় গনির বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যা সহ একাধিক মামলাও রয়েছে৷ মঙ্গলবার বিকেলে বক্তাবলী বাজারে এক দোকানদার তার হাওলাদারের এক হাজার টাকা চাওয়ার অপরাধে সামেদ আলীর সন্ত্রাসী পুত্র গনি দোকানদার মারধর করে। এ ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। তার জের ধরে সামেদ আলীর সন্ত্রাসী পুত্র গনি ফোন করে তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীদের খবর দিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলীর ভাতিজা জুয়েলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙ্গচুর করে। সন্ত্রাসীদের বাধা দিতে গেলে নারী সহ ৬ জনকে পিটিয়ে আহত করে। এঘটনা এলাকায় আতংক দেখা দিয়েছে। পরে সামেদ আলী বাহিনীর সন্ত্রাসীরা বীরদর্পে ঐ স্থান ত্যাগ করে।
এদিকে বক্তাবলীর আকবরনগর এলাকাটি বর্বর এলাকা হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত। সরকারি দলের নাম ব্যবহার করে সামেদ আলী বাহিনী ঐ এলাকায় ইট ভাটায় চাঁদাবাজিসহ প্রভাব বিস্তার করে। এই বাহিনীর বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করারও সাহস পায় না। আর প্রায় সময় সামেদ আলী ও রহিম হাজী নামে দুটি গ্রুপের মধ্যে প্রায় সময় টেটাবল্লম নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতো। এতে কয়েকটি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। আর সম্প্রতি সামেদ আলীর সন্ত্রাসী পুত্র গনি জনৈক এক নারী সাংবাদিককে মারধর করার ঘটনা ঘটায়।
এবিষয়ে সামেদ আলী জানান, তেমন কিছু তো হয়নি। তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে একটু বাগবিতন্ডা হয়েছে। চেয়ারম্যানের ভাতিজা একটু বাড়িয়ে বলেছে। সেই চায় এলাকার লোকজনের সঙ্গে ঝগড়া ঝাটি করতে। আমার লোকজনদের আমি শান্ত থাকতে বলেছি। চেয়ারম্যান এর ভাতিজার ভাতিজার বাড়িতে হামলা হওয়ার ঘটনা অস্বীকার করেন তিনি।
বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী জানান, বক্তাবলী বাজারের এক দোকানদারের কাছ থেকে বেশ কয়দিন আগে এক হাজার টাকা ধার নেয় সামেদ আলীর লোকজন। সেই টাকা চাইতে গেলে আমার আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে তর্ক হয়। এনিয়ে কয়েকশ লোকজন নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র হাতে আমার ভাতিজার বাড়িতে হামলা চালায় সাদেম আলী বাহিনী। তখন আমার ভাতিজা জুয়েলের বাড়ি ভাংচুর করেছে। প্রতিবাদ করায় আমার ভাবি, ভাতিজা ও ভাতিজার স্ত্রীসহ ৫/৬ জনকে মারধর করেছে। এবিষয়ে থানায় কোন অভিযোগ করা হয়নি।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রিজাউল হক দিপু জানান, বক্তাবলীর বিষয় কেউ অভিযোগ দেয়নি। কেউ যদি অভিযোগ দেয় তাহলে তদন্ত করে আইনতগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।